কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: অসমে অবিরাম বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের ৩৩টি জেলার মধ্যে ৩২টিই এখন বন্যাপ্লাবিত। জলের তলায় চলে যাচ্ছে বসতবাড়ি থেকে চাষের জমি। ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫। বন্যাবিধ্বস্ত প্রায় ৩১ লক্ষ মানুষ। ধস এবং হড়পা বানের জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন মারা গিয়েছেন অসমে। তাঁরা দাড়াং, বারপেটা, করিমগঞ্জ এবং সোনিতপুরের বাসিন্দা। ভারতীয় সেনা, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ দলগুলি বন্যা কবলিত এলাকা থেকে অবিরাম উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
বর্ষার প্রথম ধাক্কাতেই বিপর্যস্ত উত্তর পূর্বের একাধিক রাজ্য। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসম। ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র নদ। একাধিক জায়গায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদী। উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত দল পাঠানো হয়েছে। বন্যার জেরে একাধিক এলাকায় আটকে পড়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। তারই মাঝে অসমের রঙ্গিয়ায় মোবাইলে ভিডিয়ো করতে গিয়ে জলে তলিয়ে যায় দুই যুবক।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সরকারের ৫১৪টি ত্রাণশিবিরে দেড় লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বজলি, বক্সা, বরপেটা, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মজুলি, নগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগরের মতো জায়গা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
মেঘালয়েও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত এক সপ্তাহে মেঘালয়ে ১৮ জন মারা গিেয়ছেন ধসে আর বজ্রপাতে। মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে এবার রেকর্ড বর্ষণ হয়ছে।
আরও পড়ুন: Khardah: ‘পুলিস’ স্টিকার মারা গাড়ির বনেটে যুবক, গ্রেফতার লেক থানার এসআই
শনিবারই বন্যা পরিস্থিতি জানতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় সেনা, দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা উদ্ধারকাজে নেমেছেন। চলছে ত্রাণবিলি।