Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeদেশশেষযাত্রায় পাক পতাকায় ঢাকা গিলানির দেহ, রুজু মামলা

শেষযাত্রায় পাক পতাকায় ঢাকা গিলানির দেহ, রুজু মামলা

Follow Us :

শ্রীনগর: দিন তিনেক আগে প্রাণ হারিয়েছেন কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি(Syed Ali Shah Geelani)। যিনি নিজেকে মনে প্রাণে পাকিস্তানী মনে করতেন। ভারত থেকে কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করতে আজীবন লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর শেষযাত্রায় ভারত বিরোধী স্লোগান দেওয়ায় কড়া ব্যবস্তা নিল পুলিশ।

চলতি সপ্তাহের বুধবার রাতের দিকে মৃত্যু হয় হুরিয়ত নেতা গিলানির। তারপর থেকেই কাশ্মীর জুড়ে ছড়াতে থাকে চাপা উত্তেজনা। শ্রীনগরের হায়দারপোরা এলাকায় গিলানির বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় বাহিনী। সেই সঙ্গে সমগ্র উপত্যকা জুড়ে আটোসাটো করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। যা এখনও জারি রয়েছে।

আরও পড়ুন- ভ্যাকসিন বিক্রির অভিযোগে বিভাগীয় তদন্তে সাসপেন্ড স্বাস্থ্যকর্তা

ওই অবস্থাতেই বৃহস্পতিবার শেষ যাত্রা সম্পন্ন হয় হুরিয়ত নেতা গিলানির। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। কারণ পাকিস্তানের পতাকায় মুড়িয়ে দেওয়া হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গিলানির দেহ। ওই অবস্থাতেই শেষ যাত্রায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেই পাক পতাকায় মুড়ে রাখা ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সক্রিয় হয়েছে পুলিশ।

হুরিয়ত নেতা গিলানি

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “এক হুরিয়ত নেতার মৃত্যুর পরে গত বৃহস্পতিবার একদল বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ভারত বিরোধী স্লোগান দিয়েছে। সেই সঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে নানাবিধ ক্রিয়াকলাপ করেছে। বাদগামে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন- টানা চার দিন সংক্রমণ ১০০-র উপরে, চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতা-উত্তর ২৪ পরগনা

১৯২১ সালে কাশ্মীরের সীমান্ত লাগোয়া বারামুল্লা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। লাহোরের ওরিয়েন্টাল কলেজে লেখাপড়া করেছেন তিনি। দেশভাগের সময়ে কাশ্মীর পাকিস্তানের অঙ্গ না হওয়ার কারণে আন্দোলন শুরু করেন তিনি। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়েছিল ২০১০ সালে। গিলানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হয় ওই দেশে। অর্ধনমিত থাকে জাতীয় পতাকা। ‘আমরা পাকিস্তানী এবং পাকিস্তান আমাদের’- গিলানির এই উক্তি স্মরণ করে তাঁকে সম্মান জানায় পাকিস্তান।

RELATED ARTICLES

Most Popular