আগরতলা: দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি। নাবালিকা স্ত্রীকে খুন করে দুটুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দিল স্বামী। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়। ১৫ বছরের স্ত্রীকে খুন করে টুকরো করা দেহ পশ্চিম ত্রিপুরার একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়ের মিয়া নামে অভিযুক্ত ওই স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের কথা সে স্বীকার করেছে। মৃত স্ত্রীর নাম তজুজা বেগম।
মাত্র ৮ মাস আগে তজুজার সঙ্গে কয়েরের বিয়ে হয়। মৃতার ছোট ভাই বাপন মিয়া জানিয়েছে, বিয়ের পর থেকে প্রথম প্রথম ভালোই কাটছিল। কিন্তু কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। গত ২৯ এপ্রিল ঘটনাটি জানাজানি হয়। তজুজার মা হঠাৎ করেই জানতে পারেন তাঁর মে নিখোঁজ। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছোট ছেলে বাপনকে নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান।
আরও পড়ুন: Weather Update | বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতায়, বইবে ঝোড় হাওয়া
মুসলিমপাড়ায় জামাইয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখেন ঘরের মধ্যে রক্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। কিন্তু ঘরে কেউ নেই। তাই দেখে তজুজার মা কান্নাকাটি শুরু করে দেন। জামাইয়ের পাড়ার লোকেরা তাঁকে কাঁদতে দেখে ছুটে আসেন। তাঁরাও ঘরে রক্ত দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে পলাতক স্বামীর খোঁজ শুরু করে। বেশ কিছুক্ষণ পর তাকে বটতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
কয়ের মিয়া পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে, গত ২৭ এপ্রিল রাতে সে তার স্ত্রীকে খুন করেছে। তারপর দেহ দুটুকরো করে দুটি ব্যাগে ভরে জঙ্গলে ফেলে দেয়। তাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ জঙ্গল থেকে ব্যাগ দুটি উদ্ধার করে। সেখান থেকে দেহাংশ পাওয়া গিয়েছে। ধৃতকে এখন জেরা করে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় তৃতীয় ব্যক্তির যোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।