নয়াদিল্লি: ম্যাঙ্গালুরুতে (Mangaluru) গত শনিবার অটোরিক্সাতে (Autorickshaw) যে বিস্ফোরণ হয়েছে, তা আসলে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড। আর তার চালানো হয়েছিল গুরুতর ক্ষতির উদ্দেশ্য নিয়ে। রবিবার সে রাজ্যের পুলিশ প্রধান এই কথা বলেছেন। কর্নাটক পুলিশের শীর্ষকর্তা প্রবীন সুদ জানিয়েছেন, পুলিশ কর্নাটকের উপকূলীয় অঞ্চলের এই বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে পুলিশ কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে তদন্ত করছে। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র (Karnataka Home Minister Araga Jnanendra) জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল পুলিশকে এই মামলায় সাহায্য করছে।
জানা গিয়েছে, ম্যাঙ্গালুরুতে অটো বিস্ফোরেণের ঘটনায় আহত যাত্রী কথা বলার মতো অবস্থায় নেই এখনও। পুলিশের দল তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে যা তথ্য হাতে উঠে এসেছে, তা সন্ত্রাসবাদী গতিবিধির দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাকে এই বিষয়ে খবর দেওয়া হয়েছে। কর্নাটক সরকারের প্রত্যাশা, এক বা দু’দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্ট তথ্য হাতে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: Gujarat: কেবলমাত্র মুসলমানরাই পারে কংগ্রেসকে রক্ষা করতে, মন্তব্য গুজরাতের কংগ্রেস প্রার্থীর
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ব্যাটারি সহ পোড়া প্রেসার কুকার (Burnt Pressure Cooker with Battery Recovered) পেয়েছে। কর্নাটক পুলিশের শীর্ষকর্তা প্রবীন সুদ আরও বলেছেন, ঘটনার মূল সন্দেহভাজন ওই অটোতেই যাত্রী হিসেবে উঠেছিল। তার কাছে থেকে আধার কার্ড (ADHAAR Card) পাওয়া গিয়েছে। তার বাড়ি হুব্বালিতে। আধার কার্ড যে ব্যক্তির ছবি রয়েছে, তা তার মতো দেখতে হলেও, ছবিটি তার নয়। সেই হিসেবেই সন্দেহ করা হচ্ছে, সে কোনও হামলার ছক কষেছিল। কিন্তু তার লক্ষ্য কী ছিল জানা যায়নি। পুলিশ সন্দেহ করছে কোয়েম্বাটুর বিস্ফোরণের সঙ্গে তার যোগ থাকতে পারে। কেন না সম্প্রতি ওই ব্যক্তি কোয়েম্বাটুর এবং তামিলনাড়ুর কিছু অংশে ভ্রমণ করে এসেছে। বিস্ফোরণ হওয়া বোমাটি কম তীব্রতার ছিল। ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি কোথাও যাচ্ছিল, তবে উদ্দেশ্য এখনও অজ্ঞাত।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে খবর, এমনকি ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ফোনের যে সিম কার্ড পাওয়া গিয়েছে, সেটি কোয়েম্বাটুরে ভুয়ো নামে নেওয়া। সেই সিমের টাওয়ার লোকেশন এবং কল লগ থেকে তামিলনাড়ু এবং কোয়েম্বাটুর ভ্রমণের তথ্য হাতে উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, একটি নির্মিয়মান বিল্ডিংয়ের কাছে অটোটিতে বিস্ফোরণ হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অটোটিতে আগুন লেগে যায়। সেই সময় অটোতে চালক এবং ওই যাত্রী ছিল। দু’জনেই আহত এবং কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। কর্নাটক পুলিশ স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হওয়া এবং গুজব না ছড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।