নয়াদিল্লি: তৃণমূল (TMC) সাংসদ (MP) মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) ২ নভেম্বর ফের তলব (Summoned) করল লোকসভার এথিক্স কমিটি। শনিবার কমিটির তরফ থেকে মহুয়াকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওইদিন বেলা ১১ টার সময় তাঁকে কমিটির সামনে হাজির হতে হবে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর কোনও অনুরোধ গ্রাহ্য করা হবে না। প্রসঙ্গত, এথিক্স কমিটি ৩১ অক্টোবর মহুয়াকে হাজিরা দিতে বলেছিল, কিন্তু শুক্রবার মহুয়া চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন ৪ নভেম্বরের আগে তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর রেশ এখনও চলছে। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে তিনি বিজয়া সম্মিলনীর জন্য ব্যস্ত থাকবেন। তাই ওই দিনের আগে তিনি দিল্লি যেতে পারবেন না। কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকার জানিয়েছিলেন, মহুয়ার আর্জির ব্যাপারে অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শনিবারই কমিটি তৃণমূল সাংসদ মহুয়াকে ২ নভেম্বর হাজিরা হওয়ার জন্য তলবি নোটিস পাঠিয়েছে। টাকার বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে মহুয়ার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর অভিযোগ, বিশিষ্ট শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির পরামর্শ মতোই মহুয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হেনস্থা করার জন্য আর এক শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে লোকসভায় প্রশ্ন করেছেন। এর বিনিময়ে তিনি টাকাও পেয়েছেন। বিজেপি সাংসদের আরও অভিযোগ, মহুয়া লোকসভার ওয়েবসাইটের জন্য তাঁর ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ডও ওই ব্যবসায়ীকে দিয়ে দেন। নিশিকান্তের প্রশ্ন একজন সাংসদ দেশকে কীভাবে বিকিয়ে দিতে পারেন। মহুয়ার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছেন তাঁর একসময়কার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই।
আরও পড়ুন: লোকসভার এথিক্স কমিটির ডাকে যাবেন না, জানালেন মহুয়া
ইতিমধ্যেই এথিক্স কমিটি দুই অভিযোগকারীকে তলব করে তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করেছে। নিশিকান্ত বলেন, আমি যা বলার কমিটিকে বলেছি। সমস্ত তথ্য দিয়েছি। একই কথা জানিয়েছেন মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু জয়ও। ওই দুজনকে যেদিন তলব করা হয়, সেদিনই এথিক্স কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, মহুয়ার বক্তব্য শোনা হবে। সেই কারণেই কমিটি ৩১ অক্টোবর তৃণমূল সাংসদকে তলব করেছিল। কিন্তু মহুয়া চিঠি দিয়ে হাজিরা পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। কমিটি এদিন চিঠি দিয়ে মহুয়াকে জানিয়ে দেয়, তাঁকে হাজিরা দিতে হবে ২ নভেম্বরেই। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিলম্ব না করে অবিলম্বে সব পক্ষের অভিযোগ শুনতে চায় কমিটি।
দেখুন আরও অন্য খবর: