নয়াদিল্লি: মাদার টেরিজার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির (Missionaries of Charity) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা নিয়ে প্রেস বিবৃতি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিবৃতির একেবারে শেষ দিকে কেন্দ্র দাবি করেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মিশনারিজ অফ চ্যারিটির কোনও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয়নি। বরং চ্যারিটির (Missionaries of Charity) পক্ষ থেকেই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে সংস্থার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার অনুরোধ করা হয়।
দেশের বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন বা এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন থাকলেই যে কোনও সংস্থা বিদেশ থেকে টাকা পয়সার লেনদেনের অনুমতি পায়। ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরণের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এর কারণ হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দাবি করেছে, বিদেশি আর্থিক অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১০-১১ অনুযায়ী যে যে যোগ্যতা থাকা জরুরি, চ্যারিটি তা দেখাতে পারেনি।
একই সঙ্গে পুনর্নবীকরণের আবেদন আরও একবার খতিয়ে দেখার জন্য মাদার টেরিজার মিশনারিজ অফ চ্যারিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে কোনও রকম আবেদন করেনি বলে প্রেস বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। সম্ভবত এই কারণ দেখিয়েই বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে রেজিস্ট্রেশন খারিজ করে দেয় কেন্দ্র। বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৪৭১২০০০১।
এই রেজিস্ট্রেশন ২০২১-এর ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৈধ ছিল। এই বৈধতা সাধারণ নিয়মেই চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির পুনর্নবীকরণের আবেদন খতিয়ে দেখার সময় বেশ কিছু গোলমেলে তথ্য তাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। সেই সমস্ত তথ্য এবং রেকর্ড মাথায় রেখেই মাদার টেরিজার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির আবেদন খারিজ করেছে তারা।
চ্যারিটির বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনের রেজিস্ট্রেশন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈধ আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তারা ফ্রিজ করেনি। বরং চ্যারিটই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে সংস্থার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার অনুরোধ করেছে। প্রেস বিবৃতির শেষ লাইনে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আরও পড়ুন: Mother Teresa: মাদারের মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল কেন্দ্র
মিশনারিজ অব চ্যারিটির (Missionaries of Charity) সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের ঘটনায় হতবাক এবং স্তম্ভিত হয়ে টুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা লেখেন, ‘কেন্দ্র ভারতের মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। বড়দিনের উৎসবের সময় এটা শুনে আমি স্তম্ভিত। মিশনারিজ অব চ্যারিটির (Missionaries of Charity) ২২ হাজার রোগী এবং কর্মী রয়েছেন। তাঁরা খাবার এবং ওষুধ ছাড়া কী করে থাকবেন?’ টুইটে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা।