বসিরহাট: সীমান্তে হাত-পা বাধা, মুখ পোড়া এক যুবতীর নলিকাটা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য। এই ঘটনায় রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট মহকুমা স্বরূপনগর থানার গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গুনরাজপুর গ্রামে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত বাংলাদেশী যুবতীর নাম সুমাইয়া আখতার বৃষ্টি। তাঁর বয়স ২২। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকার কাছে।শ্যামপুরে। মৃতদখের পাশ থেকে বাংলাদেশী পরিচয়পত্র এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে একটি চশমাও। ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্য মূল অভিযুক্ত এক দালালকে গ্রেফতা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। ধৃত আজ আদালতে পেশ করা হয়।
আরও পড়ুন: কাবেরীর জল ঘোলা, বনধে স্তব্ধ কর্নাটক
জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২৬ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সকালে একটি কাকরোল খেতে যায় বছর ১৯-এর এক মে্যে। গিয়ে দেখে খেতের মধ্যে রক্তাত্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক যুবতী। তারপর সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের কিছু স্থানীয় মানুষ গিয়ে দেখে গলার নলিকাটার পাশাপাশি তার মুখ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের গোবিন্দপুর গ্রামে। ঘটনাস্থলে স্বরূপনগর থানার পুলিশ এসএম মৃতদে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবতী রাতের অন্ধকারে সীমান্ত সুরক্ষার নজরে এড়িয়ে এদেশে ঢুকেছিল। দালালের খপ্পরে পড়েছিল কি না টা নিয়ে এখনও জল্পনা রয়েছে। মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
যুবতীর মৃত্যুর ঘটনায় ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তের আধিকারিকদের পুরো বিষয়টা স্বরূপনগর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশী পরিচয় পত্র পাওয়ার পর তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে বিএসএফ ও পুলিশ। এছাড়াও মৃত যুবতী শেষ বার কার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিল সেই ফোন নাম্বার ট্র্যাক করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন: