সাগর:মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) পুণ্যস্নানের আগেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা পুণ্যার্থীর ভিড় গঙ্গাসাগরে। ৮ জানুয়ারি শুরু হয়েছে এবারের গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela)। মেলার শুরুতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। কুম্ভ মেলার পরেই দেশের সবথেকে বড় মেলা হিসেবে ধরা হয় গঙ্গাসাগর মেলাকে। এই মেলাকে জাতীয় মেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সাগরে এবং জয়নগরে গিয়ে তিনদিন আগেও মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় একই দাবি জানান।
প্রতিবছরই গঙ্গাসাগর মেলায় দেশ-বিদেশ থেকে কপিলমুনির মন্দির দর্শন এবং পুণ্যস্নানের জন্য ছুটে আসেন লাখো লাখো পুণ্যার্থী। কথায় আছে ‘সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার’। তাই গঙ্গাসাগর মেলা মানেই দেশ-বিদেশের পুণ্যার্থীদের কাছে একটি আবেগ, বিশ্বাস এবং পুণ্য লাভের জায়গা।এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় ছবিটাও ঠিক একই। মেলার শুরু থেকেই দেশ-বিদেশ থেকে পুন্যার্থীরা আসতে শুরু করেছে গঙ্গাসাগরে।
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় গ্রামবাসীর হাতে আক্রান্ত সাধুরা
প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলায় দেশ-বিদেশ থেকে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি দর্শন এবং পুণ্য স্নানে ছুটে আসে লাখো লাখো পুণ্যার্থীরা। এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় ছবিটাও ঠিক একই। মেলার শুরু থেকেই দেশ-বিদেশ থেকে পুন্যার্থীরা আসতে শুরু করেছে গঙ্গাসাগরে। মকর সংক্রান্তির পুণ্য স্নানের আগেই গঙ্গাসাগরে এসে সাগর স্নান সেরে নিচ্ছে হাজার হাজার পুন্যার্থীরা। পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সাগর তটে মোতায়েন রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা টিম। সমুদ্র পথেও চলছে নজরদারি।
অন্যদিকে বিগত কয়েক বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় গঙ্গাসাগর মেলা চলাকালীন সাগর তটে সাগর আরতি মেলায় এক আলাদা মাত্রা এনে দেয়। আগামী ১৪ ই জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাগর তটে এই সাগর আরতি করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। তবে মকর সংক্রান্তির পুণ্য স্নানে এখনও দুটো দিনের অপেক্ষা। তবে তার আগেই মেলার শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে ভক্ত ও দর্শনার্থীরা ভিড় জমাতে শুরু করেছে কপিলমুনি মন্দির চত্বরে। মকর সংক্রান্তির পুণ্য স্নান উপলক্ষে কার্যত কয়েকটা দিন মিনি ভারতবর্ষে হয়ে উঠেছে গঙ্গাসাগর।
আরও অন্য খবর দেখুন