কলকাতা: এনআইএ (NIA) ও বিজেপি (BJP) যৌথভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এনআইএস এসপির বাড়িতে গোপন বৈঠক বিজেপি নেতার। এরজন্য টাকারও লেনদেন হয়েছে এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। রবিবার এই বিষয়ে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকস বৈঠক করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
কুণাল ঘোষ বলেন, সন্দেশ খালির পর বলা হয়েছিল যেখানেই যাবে লোকাল পুলিশকে জানাতে। কিন্তু এনআইএ যাচ্ছ ৪ টের সময় আর ৫টা ৪৫ মিনিটে জানাচ্ছে। ২৬ মার্চ এনআইএ এসপি ধনরম সিংহের বাড়িতে যান বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ভিজিটর্স বুকে লেখা রয়েছে। ভোট ঘোষণার পর এমসিসি যখন চলছে তখন অফিসে না গিয়ে বাড়িতে গেছেন। প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে বলে আমাদের অভিযোগ। পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে হবে। মোবাইলের লোকেশন, কোথায় কোথায় ফোন গেছে তা পুলিশকে খুঁজে বার করতে হবে। ভোটের আগে ভূপতি নগরে আমাদের বুথ কর্মীদের বেছে বেছে ধরে হয়রানি করছে। অবিলম্বে ধনরাম সিংহের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হোক রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করছি।
আরও পড়ুন: বেছে বেছে তৃণমূলের বুথ এজেন্টদের ধরা হচ্ছে, অভিযোগ মমতার
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ২০০২ এর ২ ডিসেম্বরের পুরনো ঘটনাকে সামনে এনে ভোটের আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে। শুধু এমএলএ, এমপি নন একেবারে বুথ কর্মীদের টার্গেট করা হচ্ছে। মহিলাদের অপমান ও অত্যাচার করা হয়েছে। মহিলারা রুখে দাঁড়াবে। এই জায়গায় মহিলা আন্দোলনকে সমর্থন করবেন আর এক জায়গায় নিন্দা করবেন এটা ঠিক নয়। তৃণমূলের ১০ জনের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন যাবে আগামীকাল বা পরশু। তৃণমূলকে কে ভয় পেয়ে এসব করা হচ্ছে।
কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ধনরাম কেন্দ্রের খুবই বিশ্বস্ত লোক। ওর সঙ্গে হোম মিনিস্ট্রির কোনও ভাবে জড়িত রয়েছে। এনআইএ ও বিজেপির সম্মিলিত ষড়যন্ত্র। জিতেন্দ্র একটা তৃণমূল নেতাদের তালিকা দিয়েছে ধানরামকে। তারপরেই এনআইএর র এত তোড়জোড়। জিতেন্দ্র সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে গিয়েছিলেন ও সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ছিল। চন্দ্রিমা বলেন, কোথাও কোনও অন্যায় হলে তৃণমূল চুপ করে বসে থাকে না। যদি শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা ঘটে মহিলারা তো রুখে দাঁড়াবেই।জিতেন্দ্র টাকা নিয়ে গিয়েছিল কি না সেটার তদন্ত হোক।
আরও খবর দেখুন