কলকাতা: তৃণমূলে ‘বিদ্রোহী’ তাপস রায়। সোম বা মঙ্গলেই দল ছাড়তে পারেন রাহনগরের প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভায় শাসকদলের উপ-মুখ্যসচেতক তাপস রায় (Tapas Roy। সোমবার সাত সকালেই তাঁর মানভঞ্জন করতে তড়িঘড়ি বিধায়কের বাড়ি ছুটলেন ব্রাত্য-কুণাল। বিধায়কের ইস্তফা দেওয়ার আগে শেষ চেষ্টা করে দেখতে চায় দল। সেই কারণেই তাপসের মান ভাঙতে বাড়িতে গেলেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) ও কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে মঙ্গলবার বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে তাপস রায়ের। সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মিটিং করতে পারেন তিনি। তবে ব্রাত্য-কুণালের সঙ্গে বৈঠকের পর বরফ গলে কি না তা দেখার। বিধায়কের মান ভঞ্জন হবে কি না তা বলবে সময়ই।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চের
তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো সৈনিক তাপস রায়। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল যোগদান। তবে ইদানিং তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল তাপস রায়ের। উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি পদ থেকে তাপসকে সরিয়ে দিতেই হতাশা বাড়ে তাঁর অনুগামী শিবিরে। এর মধ্যেই নেতাদের মধ্যে বিরোধ সামান্য প্রকাশ্যে এসেছে। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Bandyopadhyay) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক। শনিবারই তিনি সুদীপের ‘ষড়যন্ত্র’ বলে অভিযোগ এনেছেন। তাপসের অভিযোগ, গত ১২ জানুয়ারি সুদীপই তাঁর বাড়িতে ইডিকে পাঠিয়েছিলেন। বরাহনগরের বিধায়ক জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটে উত্তর কলকাতা থেকে তাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে। তাই সুদীপ তাঁর পিছনে লেগেছেন। দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও কিছু এসে যায় না বলে এই প্রবীণ বিধায়ক মন্তব্য করেন। সুদীপের বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার উল্লেখ করে তাপস বলেন, রাজ্যপাল হবেন বলে সুদীপ মোদিজিকে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলেন। এমনটাই আমি শুনেছিলাম। শুধু তাপস নয়, মূলত সুদীপের বিরুদ্ধে গুচ্ছ অভিযোগকে সামনে রেখেই উত্তর কলকাতার আর এক নেতা কুণাল ঘোষ শুক্রবার দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্রের পদে ইস্তফা দেন।
অন্য খবর দেখুন