কলকাতা: দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন ও ভোটদাতাদের বুথমুখি করতে ইতিমধ্যে কলকাতা সহ জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই আবহে রাজ্যে পা রেখেছে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission Of India) ফুলবেঞ্চ। রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সোমবার সকালে আলোচনায় বসছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দবলগুলির পাশাপাশি রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসবে।
নির্বাচনের আগে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার দু’টি দলে ভাগ হয়ে বাংলায় আসে তারা। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ না হলেও রাজ্যেএসেই ভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছে। ভোটার তালিকা, বুথ প্রস্তুতি এবং আদর্শ আচরণ বিধি নিয়ে যে নির্দেশিকা আছে তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কেমন কাজ হয়েছে সেটার রিপোর্ট নিয়েছে ফুল বেঞ্চ। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সোমবার সকালেই রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক হবে লোকসভা ভোট নিয়ে। প্রত্যেকটি দলকে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য ১৫ মিনিট করে সময় বরাদ্দ করেছে নির্বাচন কমিশন। ধর্মতলার একটি বেসরকারি হোটেলে এই বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে রাজননৈতিক দলগুলির কী কী করণীয়, প্রচারের সময়ে কোন কোন কী কী করবে আর কী কী করবে না, তারকা প্রচারকদের ক্ষেত্রে কী নিয়ম রয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি অনুসারে সে সব বুঝিয়ে দেওয়া হবে সোমবারের বৈঠকেই। এ ছাড়া, ওই বৈঠকে নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিশনের কাছে জানাতে পারবেন বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা। বিজেপির তরফে আগেই জানানো হয়েছে, রাজ্যের ভুয়ো ভোটারের তালিকা তারা কমিশনের ফুল বেঞ্চের সামনে তুলে ধরবেন। অর্থাৎ, ভোটের আগে রাজ্যে কত জন ভুয়ো ভোটার রয়েছে, তার তালিকা দেখিয়ে সেই সংক্রান্ত অভিযোগ কমিশনে জানাবে বিজেপি। এই বৈঠকের পর রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা।
আরও পড়ুন: ইডির মুখোমুখি হতে রাজি কেজরিওয়াল, সশরীরে নয়
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই সন্দেশখালি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। পরিস্থিতি আগের চেয়ে শান্ত হলেও তুসের আগুনের মতো ধিকিধিকি জ্বলছে। প্রধানমন্ত্রী দুদিনের সফরে রাজ্যে এসে আরামবাগ ও কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে সন্দেশখালি নিয়ে সুরও চড়িয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরের পরই রাজ্যে নির্বাচন করমিশনের ফুলবেঞ্চ পা রাখে। এখনও কী অন্যবারের তুলনায় এবার অনেক আগে থেকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) শুরু হয়েছে টহল। শহরে কসবা, পর্ণশ্রী, গার্ডেনরিচ, সার্ভে পার্ক, পূর্ব যাদবপুর, নিউ মার্কেট, বড়তলা, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স ও ভাঙড় থানা এলাকায় ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সার্ভে পার্কের সিংহবাড়ি এলাকায় রুটমার্চ করছেন আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা। আজ থেকেই জলপাইগুড়িতে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। সকাল থেকে বর্ধমান শহরে রুটমার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাঁকুড়াতে এসে পৌঁছেছে দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। মালদার মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে রুটমার্চ করল কেন্দ্রীয় বাহিনী।