লড়াই আন্দোলন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ… এসবের আলোচনা হলেই একটা ছবি আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। ১৯৭৫, ২৬ জুন দেশে জরুরি অবস্থা লাগু করা হল। তার কিছুদিন পরেই জর্জ ফার্নান্ডেজ আর তাঁর দুজন সঙ্গীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁদের কোন জেলে পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে ধন্দ ছিল। কারণ তখন মিডিয়া এত সর্বব্যাপী ছিল না। বেশ কিছুদিন পরে হাজারিবাগ জেল থেকে আদালতে নিয়ে আসা হল জর্জ ফার্নান্ডেজকে, হাতে শিকল পরানো, কেন? কারণ তখনও অভিযুক্ত আসামিকে শিকল পরানো যাবে না, ডান্ডাবেড়ি দিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না, এমন রায় আসেনি। সব দলের সরকার অভিযুক্তদেরও শিকল পরিয়ে হাজির করত।
কৌস্তুভ রায়কে গ্রেফতার করে জেলে রাখা হয়েছে, আজ ২২৯ দিন হয়ে গেল#JusticeForKaustuvRay #JusticeForKolkataTV #KararOiLauhoKopat #KaustuvRay #KolkataTV #কলকাতাটিভি #কারারওইলৌহকপাট #কৌস্তুভরায় #wewantjustice #kolkatatvonlinehttps://t.co/tx5VRoo8aa
— Kolkata TV (@twitkolkatatv) March 1, 2024
বাম আমলে নকশাল নেতা আজিজুল হকের হাতে শিকল বাঁধা ছবি আমরা দেখেছি। সে কথা থাক, আমরা ৭৬-এর মার্চ নাগাদ সেই ছবি দেখেছিলাম, প্রিজন ভ্যান থেকে জর্জ ফার্নান্ডেজকে নামানো হচ্ছে, উনি স্লোগান দিচ্ছেন, হর জোর জুলুম কে টক্কর মে সংঘর্ষ হামারা নারা হ্যায়। এই স্লোগান জর্জের নিজের তৈরি নয়, কিন্তু তারপর থেকে এই স্লোগানের ব্যবহার বেড়ে গেল। জয়প্রকাশের আন্দোলনের সময়ে বিহার, উত্তর ভারত জুড়ে স্বৈরাচারের প্রতিবাদে স্লোগান উঠত, হর জোর জুলুম কে টক্কর মে সংঘর্ষ হামারা নারা হ্যায়। ইতিহাসের অনেক বাঁক আর মোড় আছে, অনেক কিছু যা মনে হত সম্ভব নয়, তা হতে দেখেছি আমরা। তো জর্জ শেষমেশ বিজেপি জয়েন করেছিলেন। সেটাও আজকের আলোচনা নয়। বহু পুরনো এই স্লোগান আবার সেদিন আদালতের বাইরে একইভাবে প্রিজন ভ্যান থেকে নামার সময়ে শোনা গেল, অবশ্যই খানিক বাঙালি উচ্চারণে, বাঙালি লবজে।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১৪)
আমাদের সম্পাদক যিনি এক ঘোষিত অপরাধীর দেওয়া এক মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ২৩০ দিন জেলেই আছেন, তিনি বললেন হর জোর জুলুম কে টক্কর মে সংঘর্ষ হামারা নারা হ্যায়। প্রত্যেক অন্যায় আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমরা লড়ে যাব। হ্যাঁ, মোদিজি বাংলায় এসে অবিরাম মিথ্যে বলে যাচ্ছেন, সেই দিনেই আমাদের সম্পাদক জানিয়ে দিলেন, শিরদাঁড়া টিকাউ হ্যায়, বিকাউ নহি।
দেখুন ভিডিও: