বাসন্তী: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ছায়া ক্যানিংয়ের বাসন্তীতে (Basanti)।
বাসন্তীর তৃণমূল নেতা আবুল কালাম লস্করের বিরুদ্ধে গ্রামের মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি করার অভিযোগে ১৪ জন জমির মালিক হাইকোর্টে। মামলায় অভিযোগ, প্রথমে নিজের ছোট ভেরিতে মাছ চাষ করতেন লস্কর। পরে শাসক দলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে ভরতগড়ে তার ভেড়ির আশপাশের কয়েকশো চাষের জমি দখল করে। চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়ায় তা চাষের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মামলাকারিদেরর আরো অভিযোগ, এক ব্যাবসায়ী তোলার ১৫ লাখ টাকা না দেওয়ায় তার মাছের ভেড়িতে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দেয়। তার সিমেন্টের গো ডাউন বন্ধ করে তার শাড়ির দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। মামল কারির বক্তব্য, আপাতত ১৪ জন মামলা করলেও সেখানে কয়েকশ লোকের জমি এই ভাবে দখল করেছে আবুল কলম লস্করের দলবল। একেবারে সন্দেশখালির কায়দায় মানুষকে সন্ত্রস্ত করে রেখে গরীব মানুষের জমি দখল করে ভেড়ির ব্যাবসা করা হয়েছে। বেশ কিছু জমির মালিক নিম্ন আদালতে মামলা করেছেন। কিন্তু তারপরেও জমি দখল চলছে।
যদিও এর আগে আবুল কলম লস্কর উল্টে হাইকোর্টে মামলা করে অভিযোগ করেন, তার ভেড়ির দখল নিতে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করছে। ভয় দেখাচ্ছে। যার জেরে হাইকোর্ট জেলার এসপিকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। এদিন পাল্টা অভিযোগ শোনার পর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত চাষীদের মামলায় যুক্ত করার অনুমোদন দেন। একইসঙ্গে নির্দেশ, ১৫ এপ্রিল পরবর্তী শুনানিতে কেস ডাইরি আদালতে জমা দিতে হবে পুলিশকে। অভিযুক্ত ওই নেতা নিজের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ গোপন করে কেন মামলা করে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন, সেই ব্যাপারে তাকে হলফনামা দিয়ে জবাব দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ওই নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মী খুনে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
আরও খবর দেখুন