হায়দরাবাদ: কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যেতে আপত্তি নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) মুখ হিসেবে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) মানতে নারাজ কেসিআর (KCR)। তবে বিধানসভা ভোটের মুখে আঞ্চলিক রাজনীতিতে চিরশত্রু কংগ্রেসের ‘হাত’ ধরার ঝুঁকি মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর শেষ পর্যন্ত নেবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকে যাচ্ছে। তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (Telangana Chief Minister K Chandrasekhar Rao) দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। তবে সেই জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নয়, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বা নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) এগিয়ে রাখছে। কারণ দীর্ঘ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন মমতা, নীতীশ। এছাড়াও দুজনেরই রাজ্য চালানোর প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁদের রাজনৈতিক বিচারবুদ্ধি রাহুলের থেকে অনেক বেশি। সেই অর্থে রাহুল গান্ধী কখনই প্রশাসন চালাননি। এমনকী দলের স্টিয়ারিং-এ বসেও তাঁর আমলেই কংগ্রেস একের পর এক নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে তিনি দলের প্রধানও নন। নিজেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার সাহসও তাঁর নেই।
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি দলগুলো কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে একত্রিত হওয়ার ডাক দিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আসার ডাক দিয়েছেন নীতীশ কুমার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদবের মতো নেতা। ২০১৯ সালে ‘ফেডারেল ফ্রন্ট’ গঠনের সময় কেসিআর সেই জোটে ছিলেন। চলতি বছরের শেষের দিকে তেলঙ্গনায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সূত্রের খবর, বিজেপি আঞ্চলিক দলগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সব বিরোধীদের একত্রিত হতে হবে। আমাদের মতভেদকে কবর দিতে হবে এবং জাতিকে বাঁচাতে বিজেপিকে পরাজিত করাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিজেপিকে কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে হটাতে একমত সব বিরোধী দলগুলো। তাই জাতীয় রাজনীতিতে শক্তি বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনে কংগ্রেসের সঙ্গেও জোটে যেতে পারে বিআরএস।
আরও পড়ুন:Pakistan | দেউলিয়া পাকিস্তান নগদ অর্থের জন্য ইউক্রেনে হাতিয়ার পাঠাচ্ছে
জোট গঠনের রুটম্যাপ তৈরি করতে ইতিমধ্যেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীতে মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী মতো নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামিদিনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনাও করেছেন। অন্যদিকে আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে একজোট করতে তৎপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে আলোচনায় বলেছিলেন নীতীশ কুমার। লোকসভা ভোটে বিরোধী জোট নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে দুজনের মধ্যে। বৈঠকের শেষে মমতা কংগ্রেসের নাম না নিয়ে বলেন, আগামী লোকসভায় বিরোধী দলগুলো একত্রিত হয়ে লোকসভার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। গত মাসে কালীঘাটে মমতার সঙ্গে বৈঠক করেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব। এরপর ওড়িশায় গিয়ে নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে দেখা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা হয়েছে জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী এবং ডিএমকে নেতা তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গেও।