মালদহ: মালদহের (Maldah) কালিয়াচকে নাবালিকাকে (Minor Girl) ধর্ষণ করেই খুন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নাবালিকার মৃত্যুর রহস্যের সমাধান করল পুলিশ (Police)। গ্রেফতার ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম বিশ্বজিত মণ্ডল (২৯)। ধৃত যুবক পুলিশের জেরায় মেয়েটিকে খুন করার কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করেছে। এদিকে, কালিয়াচকের নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা দায়ের। সিবিআই তদন্ত ও আর্থিক সাহায্যের দাবিতে মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস। বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, নাবালিকাকে ওড়নার ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। ধৃত যুবক সেটা স্বীকার করেছে। জানা গিয়েছে, মাত্র ৯ দিন আগে ফোনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। ফোনেই কথোপকথন হচ্ছিল। বিয়ের প্রলোভন দেওয়া হয়। সোমবার ওই যুবকের ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় নাবালিকা। ওই যুবকের সঙ্গে ইংলিশবাজার থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মহদিপুরে চলে যায়। সেখানে তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়ে থাকতে পারে। তারপর মেয়েটি বিশ্বজিৎকে বিয়ে করতে বলে। কিন্তু বিশ্বজিৎ মেয়েটিকে বাড়ি ফিরে যেতে বলছিল। কারণ, বিশ্বজিৎ বিবাহিত, তার সংসার রয়েছে। বিয়েতে নারাজ ওই যুবক শেষপর্যন্ত ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে মেয়েটিকে খুন করে ঘটনাস্থলে দেহ ফেলে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন:Lorry Accident | মুখোমুখি দুই লরির সংঘর্ষ, পুড়ে মৃত্যু হল এক চালকের
মঙ্গলবার সকালে মালদহের কালিয়াচক থানার আকন্দবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উজিরপুরের ফাঁকা মাঠ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কালিয়াচকের উজিরপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়, মেয়েটিকে ধর্ষণের পর খুন করে কেউ বা কারা জমিতে ফেলে গিয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার জেরে কালিয়াচকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই দিন বিকেল নাগাদ মৃত নাবালিকার নাম ও পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। তারপর মৃতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এই ঘটনায় পুলিশ দুই যুবককে সন্দেহ করে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়।
তবে একটি থানা নয়, পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবের নির্দেশে চারটি থানার অফিসারদের নিয়ে গঠন করা হয় বিশেষ তদন্ত কমিটি। কালিয়াচক, ইংলিশবাজার, ওল্ড মালদহ ও গাজোল, এই চার থানার বাছাই করা পুলিশ অফিসাররা ছাড়াও তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন দু’জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং কালিয়াচকের এসডিপিও সম্ভব জৈন। তদন্তে নেমেই নাবালিকার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ প্রথমে দুজনকে আটক করা হয়। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, চার থানার অফিসারদের তদন্তের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছিল। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্যের কিনারা করা সম্ভব হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।