আর কয়েক দিন পরেই ভাইফোঁটা। তার আগেই কালীঘাটের গঙ্গার জোয়ারে ভেসে ওঠার চেষ্টা মমতার কাননের। বেশ কিছু দিন ধরেই পদ্মের হাত ছেড়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের দিকে ঝুঁকে রয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এবার ‘ঘরের ছেলে’ হিসেবে ‘পরের ঘরে’ ঢিল মারার কৌশল নিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ বন্ধু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে চোখা চোখা বাক্যবাণ হেনে তৃণমূলের সঙ্গে আত্মীয়তা বাড়ানোর চেষ্টা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুনMulayam Singh Yadav Profile: উত্থান-পতন, ভোলবদলের ‘রংদার’ ব্যক্তিত্ব ছিলেন মুলায়ম
সোমবার ভিডিও বার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে আকস্মিকভাবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শোভন। নন্দীগ্রাম নিয়ে অসত্য বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী এমনই অভিযোগ তাঁর। শোভনবাবু এদিন নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে বলেন, একটি আন্দোলন যা ভারতের কৃষক সমাজকে মুক্তির আলো দেখিয়েছিল। যাঁর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বোচ্চ আদালতে জমি আন্দোলন বড় স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০০৭ সালে ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে গণহত্যার খবর পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেঁদে ফেলেছিলেন। আমি সেসময় তাঁর সঙ্গে ছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, যেখান থেকে নন্দীগ্রামে (nandigram) যাওয়ার জন্য আমরা রওনা দিয়েছিলাম সেটা শান্তিকুঞ্জ (শুভেন্দু অধিকারীর বাসভবন) ছিল না। তৃণমূল ভবন ছিল। শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়ে তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে আন্দোলনের দিনও ঠিকমতো বলতে পারেননি বলে তোপ দাগেন তিনি। উল্লেখ্য, রবিবার শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে কাঁথির ওই বাড়ি সম্পর্কে যে তথ্য তুলে ধরেন তাঁকে এদিন ইতিহাস বিকৃত ( history distorted) করে অসত্য বলা হয়েছে বলে তোপ দাগেন শোভন।