দেশজুড়ে পালিত হয় দীপাবলি (Diwali)। আলোর উৎসবে মেতে ওঠে ছোট থেকে বড় সকলেই। কিন্তু শুধুমাত্র এই গ্রামে জ্বলে না কোনও আলো, শোনা যায় না কোনও বাজির শব্দ। বিগত প্রায় ২০০ বছর ধরে এভাবেই দীপাবলি কাটাচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) পোন্নানাপেলাম গ্রাম। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। বিয়ে হয়ে এই গ্রামে এসেছেন, এমন মহিলারা দীপাবলি পালন করতে পারেন না। বহু বছর ধরেই এই নিয়ম রয়েছে। তবে ওই গ্রামের মেয়েদের যদি অন্য গ্রামে বিয়ে হয়, তাঁরা দীপাবলি পালনের অনুমতি পান। নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে, কেন গ্রামের বাসিন্দারা দীপাবলি পালন করেন না? কেন ২০০ বছর ধরে দীপাবলিতে আলো জ্বলে না গ্রামে? চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই কাহিনি।
২০০ বছর আগে এই গ্রামের বাসিন্দারা দীপাবলি পালন করতেন। ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানো হত। সেই সঙ্গে ওই দিনেই পালিত হত নাগুলা চবিতি। সাপের পুজো করা হত ওই নাগুলা চবিতিতে। এমন এক দীপাবলির দিনেই সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক শিশুর। সেই সঙ্গে মৃত্যু হয়েছিল দুই গরুর। তারপর থেকেই ওই গ্রামে বন্ধ হয়ে যায় আলোর উৎসব। দীপাবলি বা নাগুলা চবিতি কোনওটাই আর উদযাপন করা হয় না।
আরও পড়ুন: বিমান থেকে কেন মু্রগি ছোঁড়া হত জানেন?
যদিও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংস্কারের প্রভাব কমেছে। গ্রামের পড়ালেখা করা ছেলেমেয়েরা অনেকবারই সেই রীতি ভাঙার চেষ্টা করেছে। শিক্ষার আলোয় গ্রামের মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, এসবই আসলে অন্ধ বিশ্বাস। তবে কেউই এই রীতি ভাঙতে রাজি হননি। গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, বছর কয়েক আগে রীতি ভেঙে দীপাবলি পালন করেছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কয়েক বছর পর অসুস্থ হয়ে তাঁর সন্তানের মৃত্যু হয়। গ্রামে শোরগোল পড়ে যায়, পুরনো রীতি ভেঙে দীপাবলি পালন করার জন্যই তাঁর সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এরপর আরও কড়া হয় সেই বিধান।
দেখুন আরও অন্য খবর: