বোলপুর: পৌষমেলা (Poush Mela Santiniketan) না করা নিয়ে এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট রবীন্দ্রভবনের আধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ বছরও হচ্ছে না শতাব্দীপ্রাচীন শান্তিনিকেতন পৌষমেলা। সোমবার যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একথা জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বভারতী এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। পৌষমেলা বন্ধের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য দফতরের সেন্ট্রাল অফিসের মূল গেট বলাকার তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি। উপাচার্যের দফতরের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান কমিটির সদস্যরা।
সোমবারই কর্মসমিতির বৈঠকের পর বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে জানিয়েছে এবারে পৌষমেলার আয়োজন করা যাচ্ছে না। পৌষমেলা করার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ, বোলপুরের ব্যবসায়ী সমিতি এবং হস্তশিল্প সমিতির সদস্যদের আন্দোলন, বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদে উত্তাল শান্তিনিকেতন। বলাকা গেট নিরাপত্তারক্ষীদের ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায় তাঁদের। সেন্টাল অফিসের সামনেও লাগাতার বিক্ষোভ দেখান কমিটির সদস্যরা। দুপুরে পৌষমেলা করার দাবিতে শান্তিনিকেতনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটের তালা ভেঙে জোর করে প্রবেশ করলেন বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি, কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটের লোকজন তথা স্থানীয়রা। এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
আরও পড়ুন: শিশিরের সম্পত্তি-তদন্ত, কুণালের চিঠি প্রাপ্তি স্বীকার শাহের
অন্যদিকে রবীন্দ্রভবনের আধিকারিক নীলাঞ্জন পোস্টে দাবি করেন, টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে রবীন্দ্রভবনের সংরক্ষণ বিভাগ। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। অথচ রবীন্দ্র ভবনের উন্নয়নের জন্য রথীন্দ্রনাথের গড়ে তোলা তহবিল থেকে ২৫ লক্ষ টাকা অসাধু চক্রের মদতে মেলার মাঠের পাঁচিল দেওয়ার জন্য রাতারাতি পাঁচ ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছে। কীসের বিনিময়ে কী বোঝাপড়া! আমার বিশ্বাস বোলপুর আর শান্তিনিকেতনবাসী হয়ত সেটা খুঁজে বের করতে আগ্রহী হবেন।
আরও অন্য খবর দেখুন