বহরমপুর: লালবাগের ১০ নং বুথে যে স্কুলে ভোট হচ্ছে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা প্রিসাইডিং অফিসার (Presiding Officer)। তিনি ভোট প্রভাবিত করছেন বলে অভিযোগ করলেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভার বিজেপি প্রাথী গৌরীশংকর ঘোষ। তিনি বলেন, বারবার বলার পরও একই কাজ করছেন প্রধান শিক্ষিকা। এরপরও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা ধরনায় বসব। তাঁর অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ লোকসভার জিয়াগঞ্জ রাজবুধ সিং বাহাদুর হাই স্কুলে গন্ডগোল। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা প্রিসাইডিং অফিসার রয়েছেন। তিনি ভোটকে প্রভাবিত করছেন বলে দাবি বিজেপির। বিজেপি প্রার্থী গৌরী শংকর ঘোষের দাবি, ওই প্রিসাইডিং অফিসার কোনোভাবেই নিজের স্কুলে থাকতে পারেন না। তিনি নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানিয়েছেন। উল্টোদিকে তৃণমূল পরিচালিত জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে প্রিসাইডিং অফিসার করেছে নির্বাচন কমিশন। তাতে তাঁর কিছু বলার নেই। তবে এলাকার মানুষ তৃণমূলের পক্ষে ভোট দিচ্ছেন। আর যে বুথের এজেন্ট ছবি তুলতে বাধা দিচ্ছেন তিনি সিপিএমের এজেন্ট।
মুর্শিদাবাদের বিজেপি প্রার্থী একাধিক অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, কুমিরদার দুটো বুথে ভোটারদের যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কাপাসডাঙা অঞ্চলে নেস্তায় ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ। বাকি সব জায়গায় শান্তিতে ভোট চলছে। বাংলায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পুরোপুরি স্বচ্ছভাবে সম্ভব নয়। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এসেছে। শাসকদল ভোটপ্রক্রিয়ায় নিজেদের লোক ঢুকিয়ে কাছে টানছে।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি, ভোটে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ
পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় দফার ভোটে (Vote) শান্তিতে ভোট করাই চ্যালেঞ্জের নির্বাচন কমিশনের কাছে। কারণ মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ও মালদহ (Malda) দুই জেলাতে অতীতে ভোটের সময় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
আরও খবর দেখুন