হাওড়া: আগামী দিনে রাজ্যের শাসকদল অল কালীঘাট তৃণমূল কংগ্রেস হবে বলে কটাক্ষ ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। শুক্রবার হাওড়়ায় তিনি বলেন, স্বচ্ছ নির্বাচন হলে পঞ্চায়েতে শাসক দলকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাঁর এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
এদিন তিনি বলেন, এখন তৃণমূল কংগ্রেস আর সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেই। আগে AITC ছিল, এখন WBTC হয়েছে। আর আগামী দিনে AKTC অর্থাৎ অল কালীঘাট তৃণমূল কংগ্রেস হবে। শুক্রবার হাওড়ায় এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁকে মুকুল রায় প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি আরও বলেন, বাপ-ব্যাটার নাটক চলছে। দিল্লিতে ছুটে গিয়েছে। এটা মনে হচ্ছে শাসকদলেরই কোনও সেটিং। দিল্লির সঙ্গে সেটিংয়ের দরকার আছে। তাই এই নাটক চলছে। নির্বাচনের দিন ঘোষণা না হলেও আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে নওশাদ বলেন, আমরা সকলেই চাই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে হোক। অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হোক। তাহলে দেখবেন বাংলার শাসকদলকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। মানুষ যাকে ভোট দেবে তারাই এখানে শান্তিপূর্ণভাবে পঞ্চায়েত চালাবে। এটাই আমরা চাইবো।
আরও পড়ুন: Birbhum Dacoity | বীরভূমে সোনার দোকানে ডাকাত দলকে আটকে বাড়ি ঘিরে ফেলল পুলিশ
হাওড়ার ল্যাগলো বাজারে কয়েকদিন আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে এদিন হাওড়ায় আসেন নওশাদ। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, দোকানদারদের ক্ষতিপূরণ এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্তের দাবি তোলেন ভাঙরের বিধায়ক। এদিন সকালে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেন। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় অন্তর্ঘাতের বিষয় স্পষ্ট রয়েছে। বেশ কয়েকটি বিষয় দেখলেই বোঝা যাবে এটি আদৌ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা না কি আগুন লাগানোর ঘটনা। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, এখানে এত বড় ওয়াটার রিজার্ভার আছে, যেখানে জল মজুত থাকে তা সত্ত্বেও সেদিন সেই জল কেন ব্যবহার করা হয়নি। কেন দমকলের পৌঁছতে দু’ঘণ্টা সময় লাগল, পৌঁছলেও কেন তাদের ইঞ্জিনে পর্যাপ্ত জল ছিল না। এখানকার সিকিউরিটি গার্ডকে ঘটনার পর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকী রাজ্য সরকারের কাছে ঘটনার ফরেনসিক তদন্তের দাবিও তোলেন তিনি।