সন্দেশখালি: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) প্রাক্তন সিপিএম (CPIM) বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে (Nirapad Sardar) গ্রেফতার করল পুলিশ। তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার দায়ের করা এফআইআর-এর ভিত্তিতেই আটক করা হয়েছে তাঁকে, বলেই জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, রবিবার সন্দেশখালি এবং বাঁশদ্রোণী থানা যৌথ ভাবে নিরাপদ সর্দারকে আটক করে। তারপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশদ্রোণী থানায়। তাঁর আটক হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বাম কর্মী-সমর্থকেরা। সিপিএমের ঝান্ডা হাতে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে তারা।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ ওরফে শিবু হাজরাকে খুনের চেষ্টা, উস্কানি দেওয়া, বেআইনি জমায়েত করে অপরাধ সংগঠিত করা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের বিক্ষোভে অংশ নিতে বলা, অশান্তি সৃষ্টিতে প্ররোচনা দেওয়া এবং সর্বোপরি বিক্ষোভ করে পুলিশকে হেনস্থা করার অভিযোগে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার-সহ ১১৭ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। পাশাপাশি, শনিবারই গ্রেফতার হয়েছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার। গত কয়েক দিন ধরে সন্দেশখালিতে যে অশান্তি চলছে, তাতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন বসিরহাট বিজেপি সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি বিকাশ সিং। বর্তমানে তিনি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির পর্যবেক্ষক।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে পলাতক স্বামী
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা এবং জেলা পরিষদ সদস্য উত্তম সর্দারকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। শনিবার রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে সেচমন্ত্রী এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নেতা পার্থ ভৌমিক এই ঘোষণা করেন। তিনি জানান, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সন্দেশখালি নিয়ে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির সুপারিশ মেনেই উত্তমকে সাসপেন্ড করা হল। যদিও সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল উত্তম এবং শিবু হাজরার বিরুদ্ধেও। আর শেখ শাহজাহান তো রয়েছেনই। কিন্তু দল শিবুর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিল না। প্রায় দেড় মাস ধরে শাহজাহান নাগালের বাইরে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে শাসকদলের এই তিন নেতা জোর করে আদিবাসী মানুষের জমি দখল করে সেখানে অবৈধ ব্যবসা করে চলেছেন। চাষির জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার করেছেন। স্থানীয়দের মন্তব্য, শুধু উত্তমকে সাসপেন্ড করে কী হবে, শাহজাহান, শিবুর কী হবে!উত্তমকে সাসপেন্ড করাকে শাসকদলের নাটক বলে নিশানা করেছে বিরোধীরা।
আরও খবর দেখুন