কলকাতা: দশদিন পর সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের খোঁজ মিলল। তবে সশরীর নয়, আইনজীবীর মাধ্যমে। সোমবার আইনজীবীর মাধ্যমে শাহজাহান মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন জানালেন। এদিকে এদিন কেস ডায়েরি না আনায় আদালতের তোপের মুখে পড়ল পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, এমন মামলায় কেস ডায়েরি না দেখে কোনও রায় দেওয়া যায় না। পুলিশ এতদিন ধরে কী করেছে, সেটা কেস ডায়েরি না দেখে বোঝা সম্ভব নয়। আদালতের নির্দেশ, আগামিকাল মঙ্গলবার পুলিশকে কেস ডায়েরি-সহ আদালতে হাজির হতে হবে।
এদিন শাহজাহানের আইনজীবীর কাছে বিচারপতি জানতে চান, তাঁর মক্কেল কেন আত্মসমর্পণ করছেন না। এতক্ষণ ধরে আপনি এজিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। আমি ভেবেছি, আপনি রাজ্যের জুনিয়র আইনজীবী। এজি আপনাকে চুপ করতে বলার পরেও আপনি তাঁকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। বিচারপতি এজিকে বলেন, সতভাবে বিচার পেতে হলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন।
আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান কখন জেনে নিন
কেন্দ্র্রের আইনজীবী এস ভি রাজু ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেশন দুর্নীতিতে প্রথমে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে রাজ্য কিছুই করেনি। পরে আদালতের নির্দেশে সেই তদন্ত হাতে নেয় ইডিয রাজ্য পুলিশ এখন ইডিকে সাহায্য করছে না।
এজি কিশোর দত্ত আদালতকে জানান, সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিএসপির নেতৃত্বে স্থানীয় পুলিশ তদন্ত করছে। বিচারপতি বলেন, তিন হাজার অভিযুক্ত। অথচ গ্রেফতার মাত্র চার? এজি পাল্টা দাবি করেন, তিন হাজার ন, ওইদিন হামলায় ৮০০ থেকে হাজার লোক ছিল ইডির অভিযোগ অনুযায়ী।
বিচারপতি সেনগুপ্ত জানতে চান, মামলায় কেন ৩০৭ ধারা যোগ করা হয়নি। এখনও কেন ন্যাজাট থানার পুলিশকে তদন্তে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, এখনও মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি। ইডি দাবি করছে, ঘটনার সময় শাহজাহান বাড়িতে ছিলেন। সব ঘটনার পর পুলিশ সেই বাড়িতে ঢুকেছিল কি না, জানতে চান বিচারপতি।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: