বিষ্ণুপুর: বিষ্ণুপুর (Bishnupur) মল্লরাজাদের প্রাচীন ভুমি। চারিদিকে মল্লরাজাদের স্মৃতি বিজড়িত প্রাচীন টেরাকোটার (Teracota) ঐতিহ্যের মন্দির ( Heritage Temple)। এর পাশাপাশি চোখ ধাঁধানো টেরাকোটার কারুকার্য্যের মন্দির। যা দেখার জন্য সারা বছর এই শহরে ছুটে আসেন ভ্রমন পিপাসু মানুষজন। বিষ্ণুপুরের আর এক নাম সংগীতের শহর। আর এই প্রাচীন এই শহরের শান্তিনিকতনের আদলে বসন্ত উৎসব। যার পোশাকি নাম টেরাকোটার শহরে ধ্রপদী বসন্ত। নানান আবীর রঙে রঙীন হয়ে উতসবে মাতলেন দেশ বিদেশের পর্যটক থেকে বিষ্ণুপুরবাসী।
একদিকে প্রাচীন মন্দির অন্যদিকে শহরের অলি গলিতে কান পাতালে শোনা যায় ধ্রুপদ সংগীতের সুর মূর্ছনা। মল্লরাজাদের পৃষ্টপোষকতায় এই শরের এই সংগীতের জন্ম হয়েছে তাই বিষ্ণুপুর সুরের শহর সংগীতের শহর রূপেও পরিচিত। আর রয়েছে এই শহরে নানান হস্তশিল্পের সমাহার তাই বিষ্ণুপুর হস্তশিল্পের নগর। নানান নামে চেনা ইতিহাসের শহর বিষ্ণুপুর পর্যটকদের কাছে হট কেক। এই শহরেই শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরে বসন্ত উতসব। শান্তিনিকেতনের আদলে এই শহরের বসন্ত উতসবের নাম দেওয়া হয়েছে টেরাকোটার শহরে ধ্রুপদী বসন্ত। বিষ্ণুপুর বসন্তযাপন কমিটির আয়োজনে পালিত হয় এই উৎসব। এবারেও সকাল থেকে জমে উঠল বিষ্ণুপুরের পোডামাটির হাট৷ সকালে আবীর খেলতে খেলতে শোভাযাত্রা। সেই শোভাযাত্রা শেষে পোড়ামাটির হাট বসন্তে আবীর রঙে রঙীন হল। ধামসা মাদলের তালে আদিবাসী নৃত্য, বাউলের মেঠো সুর আর নৃত্যের তালে জমে উঠেছে মল্লগড়। আর স্বাদ নিতে হাজির দেশ বিদেশের পর্যটক ও বিষ্ণুপুর বাসী।