বেলুড়: চৈত্র সংক্রান্তিতে (Chaitra Sankranti) ফের বেলুড় মঠে (Belur Math) রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (WB Governor CV Ananda Bose)। এদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ মঠে চলে আসেন তিনি। তাঁর এই সফরকে কেন্দ্র করে সকালে থেকে পুলিশ-প্রশাসনে ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। গোটা রাস্তা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। কেরলের (Kerala) কোচিতে (Kochi) রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের (Ramakrishna Math and Mission) ১২৫-তম মঠের উদ্বোধনে বেলুড় মঠের পবিত্র ঘাট থেকে গঙ্গাজল (Water of Holy Ganges) নিয়ে যাবেন ভূমিপুত্র রাজ্যপাল। সেই উদ্দেশ্যেই তাঁর এদিন মঠে আসা। সন্ন্যাসীদের একজন ঘাট থেকে পুষ্পাদি আচ্ছাদিত মন্ত্রপূত জল ঘড়া করে এনে রাজ্যপালের হাতে তুলে দেন।
আরও পড়ুন: Poyla Baishakh | দুই রাজ্যের মেলবন্ধন, যোগীরাজ্যে প্রথমবার উদযাপিত হল বাংলা নববর্ষ
এর আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে বেলুড় মঠে এসেছিলেন রাজ্যপাল। সেবার বেলুড় ঘুরে দেখে উচ্ছ্বসিত রাষ্ট্রপতি বলেন, কলকাতায় (Kolkata) এলেই বেলুড়ে (Belur Math) আসব। সেদিনও তাঁর বেলুড় মঠ পরিদর্শনকে ঘিরে পুলিশ-প্রশাসনে ছিল সাজসাজ রব। মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষও (Ramakrishna Math and Ramakrishna Mission) রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছিল। তাঁর নিরাপত্তার কারণে সকাল থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত সাধারণ ভক্তদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতির যাত্রাপথ জুড়ে ব্যাপক পুলিশি নজরদারির (Howrah Police) ব্যবস্থা ছিল। সব থেকে বড় ভোগান্তি মধ্যে পড়তে হয়েছে অফিস-কাছারি, স্কুল-কলেজের নিত্যযাত্রীদের। দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ রাখায় এককথায় এদিন কলকাতা থেকে হাওড়া শহরে ঢোকার দুই প্রান্ত একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
রাষ্ট্রপতি মুর্মুর সঙ্গে ছিলেন একমাত্র কন্যা ইতিশ্রী। এবং রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (WB Governor CV Ananda Bose)। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল থাকাকালীন এর আগে একবার বেলুড় মঠে এসেছিলেন দ্রৌপদী। অর্থাৎ এনিয়ে দ্বিতীয়বার এবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথমবার মঠে আসেন তিনি।
ঘড়ির কাঁটা মিলেয়ে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বেলুড় মঠে প্রবেশ করেন দ্রৌপদী। সেখানে রাজ্য সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এবং অরূপ রায়। তাঁকে প্রথমে অভ্যর্থনা কক্ষ বা অতিথিঘরে বসানো হয়। সেখানে মঠের দায়িত্বপ্রাপ্ত সন্ন্যাসীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে বিশ্রাম নেওয়ার পর তিনি প্রথমেই যান রামকৃষ্ণ মন্দিরে। সেখানে ভক্তিভরে প্রণাম সেরে তাঁরা যান স্বামীজির ঘরে। সেখানে স্বামীজির বিভিন্ন কথা সংক্ষিপ্ত আকারে বলেন স্বামীজিরা। সারাক্ষণই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন সিভি আনন্দ বোস।
রাষ্ট্রপতি চলে যাওয়ার আগে মঠের তরফে তাঁকে এবং তাঁর কন্যাকে মা সারদার প্রসাদী শাড়ি এবং ভোগ দেওয়া হয়। এছাড়াও স্মারক হিসেবে কিছু ধর্মগ্রন্থ উপহার হিসেবে দেন সন্ন্যাসীরা।