নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশে ভোটের (UP Assembly Election 2022) প্রথম দফায় কারা কারা কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করবেন, সেই তারকা তালিকা সোমবারই প্রকাশ করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে কংগ্রেস নির্বাচনী প্রচারের জন্য যে তালিকা জমা দিয়েছে, সেখানে কে নেই। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী থেকে শুরু করে, হার্দিক পটেল, কানাহাইয়া কুমারের মতো জনপ্রিয় তরুণতুর্কি নেতাও রয়েছেন। তালিকায় মোট ৩০ জনের নাম রয়েছে। কংগ্রেসের প্রচার তালিকা একঝলক দেখলেই বোঝা যায়, উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনকে কতখানি গুরুত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
প্রথম দফার তিরিশ জনের তালিকায় অশোক গেহলত, গুলাম নবি আজাদ, ভূপিন্দর সিং হুডা, ভূপেশ বাঘেল, সলমন খুরশিদ, রাজ বব্বর, প্রমোদ তিওয়ারি, সচিন পাইলট থেকে শুরু করে প্রথমসারির কোনও নেতাকেই বাদ দেওয়া হয়নি।
প্রথম দফায় ১০ ফেব্রুয়ারি গোবলয়ে নির্বাচন। যোগী শাসনের অবসান ঘটাতে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আদাজল খেয়ে ভোট ময়াদানে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। নির্বাচন শুরুর মুখে রায়বরেলি সদর আসনের বিধায়ক অদিতি সিং বিজেপিতে যোগ দিয়ে, কংগ্রেসকে ধাক্কা দিলেও রাহুল-প্রিয়াঙ্কারা এই ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। রায়বরেলিতে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার পিছনে, অদিতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
কংগ্রেসের এখন একটাই উদ্দেশ্য গোবলয়ে বিজেপির উত্খাত। সে ক্ষেত্রে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিকে যদি সমর্থন করতে হয়, তাতেও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
আরও পড়ুন : Priyanka Gandhi: উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখ কে, জল্পনা বাড়িয়ে প্রিয়াঙ্কা বললেন…
উত্তরপ্রদেশ নিয়ে ভোটপূর্ব এক সমীক্ষায় দাবি করা হয়, ১৮-৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে ৩০ শতাংশ, ৩৫-৪০ বছর বয়সিদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ এবং ৪৫ ঊর্ধ্বদের মধ্যে ২৫ শতাংশ বিজেপিকেই ফের গোবলয়ে ক্ষমতায় দেখতে চাইছে। সমীক্ষায় এ-ও দাবি করা হয়, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পাবে জাতপাত। তার পরেই প্রাধান্য পাবে উন্ননয় ও আইনশৃঙ্খলা।
সমীক্ষা যা-ই বলুক, যুব শক্তিতে ভর করেই উত্তরপ্রদেশের ভোটবৈতরণী পেরোতে চায় কংগ্রেস। যে কারণে নির্বাচন ঘিরে যুব ইস্তাহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। কর্মসংস্থানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেও একাধিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। রাহুল-প্রিয়াঙ্কা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, জাতপাতের রাজনীতি থেকে দূরে থাকবে কংগ্রেস। যুবশক্তিতে ভর করে উন্নয়নই হতে চলেছে তাঁদের অস্ত্র।