হুগলি: ফের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল ‘দিদির দূত’ -দের। বাধ্য হয়ে এক গ্রামবাসীর পা ধরলেন হুগলি জেলাপরিষদের সভাধিপতি। মঙ্গলবার সকালে হুগলির গোঘাট থানার মান্দারন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তারাহাট গ্রামে যান জেলাপরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্য ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সরকারি আধিকারিকদের সামনে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ জানাতে থাকেন তাঁরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় দুই সরকারের প্রকল্প থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। পাচ্ছেন না কোনও আর্থিক সাহায্য। এরপরই গ্রামের এক মহিলার পা ধরতে যান জেলাপরিদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান। তবে তা আটকে দেন ওই মহিলা। তৃণমূল নেতাকে পা ধরতে বাধা দেন তিনি। অবশ্য গ্রামবাসীদের সমস্ত কথা শোনেন জেলা সভাধিপতি। এমনকী সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন। এরপর নিজের ফোন নম্বর গ্রামবাসীদের দিয়ে আসেন দিদির দূত মেহেবুব। এরই সঙ্গে গ্রামবাসীদের থেকে তাঁদের নম্বরও নিয়ে আসেন তিনি। যে কোনও দরকারে ছুটে আসার আশ্বাস দিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন: Sayantika Banerjee | পুলিশের গাড়ি চেপে দিদির সুরক্ষা কর্মসূচি, বিতর্কে সায়ন্তিকা
দিদির দূত এবং দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে জেলায় জেলায় শাসকদলের নেতা-কর্মী-মন্ত্রী-বিধায়করা মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। যেদিন থেকে এই দুই কর্মসূচি শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই কোথাও না কোথাও শাসকদলের লোকজনকে বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তা নিয়ে নেতা-মন্ত্রীদের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। একাধিক জেলায় পরিষেবা না মেলায় সাধারণ মানুষের কটাক্ষ হজম করতে হচ্ছে নেতাদের। কোথাও কোথাও মানুষের তাড়াও খাচ্ছেন শাসকদলের লোকজন। বিরোধীরা বলছেন, এর থেকেই বোঝা যায়, বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই এত বিক্ষোভ। শাসকদল অবশ্য বিরোধীদের এই কটাক্ষ মানতে নারাজ। শাসকদলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, দুএক জায়গায় বিক্ষোভ হতেই পারে। তাকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী প্রভৃতি প্রকল্পের সুবিধা অধিকাংশ মানুষই পাচ্ছেন। সেই প্রকল্পগুলিকে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আগামী ১ এপ্রিল থেকে ফের রাজ্যে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। তা চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত।