কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কলকাতায় আসছেন কর্নাটকের জনতা দলের নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী (HD Kumaraswamy)। আগামী ২৪ মার্চ কালীঘাটের বাড়িতে তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে বৈঠক বসতে চলেছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী (Former Chief Minister of Karnataka Kumaraswamy)। কর্নাটকে আগামী এপ্রিল মাসে বিধানসভার নির্বাচন(Assembly elections)। তার আগে মমতা- কুমারস্বামীর বৈঠক জাতীয় রাজনীতিতে ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যেই বিজেপি বিরোধী ঐক্য নিয়ে কথা বলার জন্য ওড়িশার গিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের (Chief Minister Naveen Patnaik) সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারই মমতা ভুবনেশ্বরে(Bhubaneswar) পৌঁচ্ছেন।
গত সপ্তাহেই কলকাতায় তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন সমাজবাদীর পার্টির(Samajwadi Party) প্রধান অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। সেই বৈঠকেও জাতীয় রাজনীতি এবং আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপি ভোট নিয়ে আলোচনা হয়। অখিলেশ জানিয়েছেন, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে তাঁরা বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে লড়তে চান। মমতাও সেটাই চান। বস্তুত তৃণমূলনেত্রীই সবার আগে আঞ্চলিক দলগুলিকে সামনে রেখে বিজেপি বিরেধী শক্তি গড়ে তোলার কথা বলেন। তাঁর প্রস্তাব, আঞ্চলিক দলগুলি যে যেখানে শক্তিশালী সেখানে তাকে সামনে রেখে লড়াই করা দরকার। সূত্রের খবর, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে মমতা এই প্রস্তাবই দেবেন। ভুবনেশ্বর থেকে ফিরেই কলকাতায়(Kolkata) মমতা বৈঠক করবেন জেডি(এস) নেতা কুমারস্বামীর সঙ্গে।সাভাবিক ভাবেই ওই বৈঠকে বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে কথা হবে। আলোচনা হবে আঞ্চলিক দলগুলির গুরুত্ব নিয়েও।
আরও পড়ুন:Anubrata Mondal | ৩ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজত অনুব্রতর, ঠিকানা তিহার
কর্নাটকে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যূত করতে মরিয়া কংগ্রেস এবং জেডি(এস)। নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে কংগ্রেসকে। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ও জেডিএস জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষমতায় আসে সে রাজ্য। কিছু দিনের মধ্যেই নাটকীয় পট পরির্বতনের পর ক্ষমতার দখল নেয় বিজেপি।নিজেদের হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে মরিয়া জেডি(এস)। তবে কংগ্রেস অনেক আগেই জানিয়ে গিয়েছে কর্নাটকে তারা একাই লড়াই করবেন। একই কথা জানিয়েছে জেডি(এস)ও।
জাতীয় রাজনীতিতে একলা চল নীতি নিয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেসের হাত তাঁরা ধরবেন না, অনেকদিন আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি, ইডি অফিসে অভিযান-সহ কংগ্রেসের নেতৃত্বে সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিরোধী দলগুলির যে সমস্ত কর্মসূচি হয়েছে, তার কোনওটিতেই অংশ নেয়নি তৃণমূল। এমনকি, রাহুল গান্ধীকে বিজেপিই যে নিজেদের স্বার্থে বিরোধী শিবিরের মুখ হিসেবে দেখাতে চাইছে, এমন অভিযোগও করতে পিছপা হন নি মমতা।