জয়পুর: পুলিশকর্মীদের সামনে গ্যাংস্টার এবং তাঁর সঙ্গীকে লক্ষ্য করে চলল গুলি (Shoot Gangster)। সিনেমার প্লটের মতো নাটকীয় দৃশ্যের সাক্ষী থাকল রাজস্থান (Rajasthan ) । দুঃসাহসী হত্যাকাণ্ডের ফুটেজে দেখা যাচ্ছে আট হামলাকারী বাসে উঠে হামলা চালাচ্ছে। তাদের হাতে দেখা গিয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। তারা বাসে থাকা গ্যাংস্টার এবং তাঁর সঙ্গীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে আতঙ্কে বাসের জানলা এবং দরজা দিয়ে বাইরে লাফ মারলেন যাত্রীরা।
গত ১২ জুলাই রাজস্থানের ভরতপুর এলাকায় আমোলি টোল প্লাজার কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার ভিডিয়ো মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি অনলাইন। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই গ্যাংস্টার কুলদীপ জাঘিনা এবং তাঁর সঙ্গী বিজয়পালকে আদালতে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। তখন এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত দুজনই রাজস্থান রোডওয়েজের বাসে ছিলেন এবং তাদের সঙ্গে ছয়জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজ, যা আজ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে বাসটি ভরতপুরের আমোলি টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে আছে যখন তিনজন লোক তার কাছে আসে, যাদের মধ্যে একজন বন্দুক উড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের বাসের দরজার কাছে কয়েক সেকেন্ডের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়, যতক্ষণ না গুলি চালানো হয়, কিছু যাত্রীকে নিরাপদে ছুটে পাঠায়। দু’জন লোক তখন বাসের দরজার কাছে যায় এবং তৃতীয় একজন জানালা দিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে। একজন লোক বাসে প্রবেশ করে এবং গুলি চালায়।
আরও পড়ুন: Asia Cup 2023 | বুধবারই এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণার সিন্ধান্ত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের
राजस्थान में कांग्रेस के जंगलराज का CCTV फुटेज देखिये
कैसे फिल्मी स्टाइल में भरतपुर में बदमाश यात्रियों से भरी बस में घुसे थे और हथियार बंद सुरक्षाकर्मियों के साथ जा रहे बदमाश को मार कर चले गये pic.twitter.com/F0P2DOaS6I
— Laxmikant bhardwaj (@lkantbhardwaj) July 18, 2023
এটি প্রায় দুই মিনিট ধরে চলে, যতক্ষণ না একজন বন্দুকধারীকে জানালার একটির কাছে দাঁড়িয়ে বাইরে থেকে গুলি চালাতে দেখা গিয়েছে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসের যাত্রীরা। কিছু যাত্রী দরজা দিয়ে বাস থেকে বের হয় কেউ দরজা দিয়ে, কেউ বাসের জানলা দিয়ে লাফ মেরে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। যাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ সামান্য চোট পেয়েছেন। গ্যাংস্টার কুলদীপ জাঘিনাকে হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয় এবং তার সহযোগী গুরুতর আহত হয়। বাসের তিন যাত্রীও সামান্য আহত হয়েছেন।
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভরতপুরে এক কৃপাল জাঘিনাকে খুন করার অভিযোগ ছিল কুলদীপ ও বিজয়পালের বিরুদ্ধে। সেই মামলার শুনানির জন্যই ভরতপুর আদালতের উদ্দেশে তাঁদের নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশকর্মীদের দাবি, বাসে উঠেই চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেন দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, আট দুষ্কৃতীর মধ্যে ছ’জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে কীভাবে সরকারি বাসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? যে ভাবে যাত্রিবোঝাই বাসে হামলা হল, তাতে তো যে কোনও যাত্রীর মৃত্যু হতে পারত? কেন নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হল না?