বর্ধমান: নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) থোড়াই কেয়ার। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবার প্রাতভ্রমনে বেরিয়ে বর্ধমানের রায়ান (Ryan of Burdwan) গ্রামের রায়ান হাইস্কুলের মাঠে প্রাতঃভ্রমণে যান বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এদিন প্রাতঃভ্রমণের পাশাপাশি গ্রামে জনসংযোগ করেন তিনি। এরপর রায়ান গ্রাম চৌমাথা মোড়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে চায়েপে চর্চায় অংশ নেন দিলীপ ঘোষ। গ্রামে শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে চা চক্রে যোগ দেন। গতকাল দাদাগিরির কথা বলেছিলেন, আজ একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, দাদাগিরি আমি এখনও শুরু করিনি। যেদিন একটা ঘা মারবো না, কামারের ঘায়ে সিধে হয়ে যাবে। বুধবারও তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। তিনি বলেন, এমন হারাব, জীবনে ভোটে দাঁড়াবেন না। ওঁ বিহারে চলে যাক। ওঁর কথা দলের লোকেরাই বোঝে না। বাংলার মা-বোনেরা কী বুঝবে।
সন্দেশখালি (Samdeshkhali) এক জায়গা থেকে অভিযোগ উঠে আসছে যে এখানকার বাসিন্দাদের দাবি ছিল জলের কলের সেই জলের প্রেক্ষিতে গীতায় হাত রেখে শপথ নেওয়ানো হচ্ছে যে তৃণমূল কর্মীদের ভোট দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূলকে ভোট সারা পশ্চিমবাংলার মানুষ দেবেন না। তাদের চালাকি হচ্ছে ভোটের আগে গীতায় হাত দেওয়া, যারা গীতাই মানে না তাদের গীতায় হাত দেওয়াচ্ছে কেন। যখন মহিলাদের তুলে নিয়ে এসে পার্টি অফিসে ফুর্তি করত, তখন টিএমসি কোথায় ছিল মানুষ কি ভুলে যাবে এত তাড়াতাড়ি গীতা রামায়ণ মহাভারত কোরান যাই করুক মানুষ আর টিএমসি কে ভোট দেবে না। অনন্ত বিশ্বাস অভিযোগ করছেন যে রাজবংশীদের জন্য বিজেপি কিছু করেনি। দিলীপ বলেন, কে করছে আমি জানি না, বিজেপি কি করেছে রাজবংশীরাই জানে জয়ন্ত রায়, নিশিথ প্রামানিক এরা ওখানকার স্থানীয় রাজবংশী নেতা তারা ওই সমাজের জন্য লেগে আছে উত্তরবঙ্গের রাস্তাঘাট রেলওয়ে যা কিছু হয়েছে বিজেপি করেছে।
আরও পড়ুন:কোচবিহারে আসার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রী
তৃণমূলে অভিযোগ আপনি খালি মন্দিরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পথসভা ও জনসভা করতে পারছেন না আপনাদের লোক নেই কি বলবেন। তৃণমূলকে তোপ দেগে যারা মানুষের কাছে যেতে ভয় পায় মন্দিরে যাওয়ার মুখ নেই যারা চোর তাদেরকে কাটমানি খোর বলে লোকে জানে। তাদেরকে মন্দিরে ঢুকতে দেয় না। আমরা তো মন্দির বানিয়েছি, আমরা মন্দিরে যাব না তো, ওই চোরগুলো যাবে। যখন সভা করব ওরা দম নিতে পারবে না। আমাকে তো কেউ তাড়া করেনি এখনও ওদের তাড়া করলে ,মার খেলে মন্দিরে যাবে তখন ঠাকুরের পায়ে পড়বে।
নিজের প্রচার ছেড়ে আন্দামান যাচ্ছেন কোথাও প্রচার ঘাটতি হবে কি জানতে চাওয়া হলে বলেন, আমাকে পশ্চিমবাংলার কোথাও প্রচার করতে হবে না। আমি বর্ধমানের মানুষের সঙ্গে দেখা করছি বলে গ্রামেগঞ্জে ঘুরছি। কোন প্রার্থী ভারতবর্ষে দেখতে পাবেন সকাল ছটায় রাস্তায় নেমেছে। লোকের তো ঘুম ভাঙে না ১১ টার আগে। দিলীপ ঘোষ এটা আজ নয় সারা জীবন সারাবছর করে। এখানে গ্রামে গঞ্জে লোক এসে গেছে সকালে। এক পয়সাও খরচ করিনি তাতেও লোকে আমার সঙ্গে দেখা করছে। লোকে আমাকে দেখতে চান তাই সামনাসামনি এসে দেখছে। আর আমি সর্বভারতীয় দায়িত্বের ছিলাম বলে পার্টি আমাকে সর্বভারতীয় কাজে লাগিয়েছে। তাই আমাকে আন্দামানে প্রচারের জন্য পাঠাচ্ছে।
দেখুন ভিডিও