সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: ব্যস্ত মট্রো(Metro) স্টেশনে কার্ড পাঞ্চ করে ট্রেন ধরার জন্য সিড়ির দিকে এগিয়ে চলেছেন যাত্রীরা। নিয়ম মেনে রক্ষীদের সামনে থাকা স্ক্যানারে পরীক্ষা করানো হচ্ছে যাত্রীদের ব্যাগ। যাত্রীদের ভিড়ের মাঝে একটি ব্যাগের ছবি দেখে চমকে উঠলেন রক্ষীরা। কারণ স্ক্যান করে মেশিন জানাচ্ছে যে বিপুল সোনা রয়েছে ওই ব্যাগে।
চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দমদম মেট্রো স্টেশনের এই ঘটনা ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য। ভিড়ে ঠাসা দমদম(Dum Dum) মেট্রো স্টেশনে ব্যাগ ভর্তি প্রচুর হিসাব বহির্ভূত সোনার গয়না আটক করল আরপিএফ(RPF)। সেইসঙ্গে আটক করা হয়েছে প্রদ্যুৎ মান্না নামে এক যুবককে। এরপর সেই যুবককে আরপিএফ-এর তুলে দেয় সিঁথি থানার পুলিশের হাতে।
আরও পড়ুন- পড়ুয়াদের বাধায় ‘অসুস্থ’ বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে না দেখেই ফিরে গেলেন চিকিৎসকেরা
থানায় নিয়ে এসে যুবককে জেরা করে পুলিশ। জেরায় কোনো সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় এবং সোনা নিয়ে যাওয়ার জন্য কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। এত পরিমান সোনা কে কোথা থেকে পেল? কোথায় পাচার করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল? তা জানতে যুবককে দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ।
রেল স্টেশনের পাশে অবস্থিত ব্যস্ততম দমদম মেট্রো স্টেশন সাধারণত ভিড়ে ঠাসা থাকে। যাত্রীদের ভিড়-এর মাঝেই ব্যাগ ভর্তি সোনা নিয়ে যাচ্ছিল প্রদ্যুৎ মান্না। বাড়ি হাওড়ার শ্যামপুর গ্রামে। মেট্রো রেলের নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত ব্যাগ স্টেশনে ঢোকার আগে স্ক্যানার মেশিনে রাখতে হয়।
আরও পড়ুন- প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস, কলকাতা পুলিশের জালে জামতাড়া গ্যাংয়ের ১৬ সদস্য
সেইমতো স্ক্যানার মেশিনে ব্যাগ রাখে প্রদ্যুৎ। তখনই পর্দা ফাঁস। স্ক্যানার মেশিন এ ধরা পড়ে যায় ব্যাগের মধ্যে প্রচুর সোনা থাকার তথ্য। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন দমদম মেট্রো স্টেশনের ডিউটি করা আরপিএফ কর্মীরা। ব্যাগ খুলতে নজরে আসে প্রচুর পরিমাণে সোনার গয়না। তখনই যুবককে প্রথমে নিয়ে আসা হয় দমদম মেট্রোর স্টেশন মাস্টারের ঘরে। এরপর তাকে তুলে দেওয়া হয় সিঁথি থানা পুলিশের হাতে।