সোনারপুর: বিধায়কের মিছিলে দেখা যায় না জেলা সভাপতিকে৷ আবার জেলা সভাপতির মিটিংয়ে ডাক পান না বিধায়ক৷ সোনারপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (Sonarpur TMC Internal Clash) না কি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বিধায়ক লাভলি মৈত্র (MLA Lovely Moitra) এবং যাদবপুরের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর মধ্যে নাকি মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ৷ এ ব্যাপারে লাভলি মৈত্রর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ শুভাশিস চক্রবর্তী গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, সোনারপুরে দলের কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই৷ ব্যস্ততার কারণে তিনি মিটিংয়ে যেতে পারেননি৷
ওয়াকিবহাল মহল অবশ্য জানিয়েছে, সোনারপুরে লাভলি মৈত্র ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে শুভাশিস চক্রবর্তীর শিবিরের নেতাদের বিরোধ দৃশ্যতই বোঝা যাচ্ছে৷ কেউ কারওর মিটিং-মিছিলে অংশ নেন না৷ একই ইস্যুতে দুই শিবির দু’বার পথে নামে৷ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ২৬ ডিসেম্বর সোনারপুরের হরিণাভি থেকে বৈকুণ্ঠপুর পর্যন্ত পদযাত্রা করেন লাভলি ও তাঁর অনুগামীরা৷ সেখানে দেখা যায়নি শুভাশিসকে৷ আবার কিছুদিন আগে বিধায়কের কার্যালয়ের সামনেই সোনারপুরের বলাকা মাঠে ওই একই ইস্যুতে মিটিংয়ের ডাক দিয়েছিলেন শুভাশিসের অনুগামীরা৷ সেখানে লাভলিকে দেখা যায়নি৷ বিধায়ক ঘনিষ্ঠদের দাবি, লাভলি মৈত্রকে মিটিংয়ে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি৷ এ নিয়ে দলের ভেতর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিধায়ক৷
দুই নেতা-নেত্রীর একে অপরকে এড়িয়ে যাওয়া দেখে দুইয়ে দুইয়ে চার করে নিতে অসুবিধা হয়নি কারওরই৷ মিটিং-মিছিলে একে-অন্যের অনুপস্থিতিই বলে দিচ্ছে, লাভলি মৈত্র এবং শুভাশিস চক্রবর্তীর শিবিরের মধ্যে ভালোরকমের কোন্দল শুরু হয়েছে৷ সেই কোন্দল প্রকাশ্যেই চলে এসেছে৷ যদিও শুভাশিসবাবুর দাবি, ব্যস্ততার কারণে তিনি লাভলির মিটিংয়ে থাকতে পারেননি৷ কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি৷ বরং লাভলির ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে, তোলাবাজিতে বাধা দেওয়ায় শুভাশিস শিবিরের সঙ্গে বিধায়কের বিরোধ শুরু হয়েছে৷
আরও পড়ুন: Nolen Gur Tube: মমতার ভাবনার ফসল নলেন গুড়ের টিউবের চাহিদা বেড়েছে