নয়াদিল্লি: ফের আদানি-প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) নিয়ে খোঁচা কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। প্রধানমন্ত্রী মোদি আদানিকে (Adani) রক্ষা করে চলছেন বলে বুধবার অভিযোগ তোলেন রাহুল। একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর উদ্ধৃত করে রাহুল বলেন, আদানিরা ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) থেকে কয়লা কিনেছিলেন। কিন্তু, ভারতে আসার পর তার মূল্য দ্বিগুণ হয়ে যায় কী করে? তাঁর অভিযোগ, দেশে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণ আদানি। মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের মানুষের উপার্জিত অর্থ আদানির পকেটে চলে যাচ্ছে।
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আরও বলেন, প্রতি ইউনিটের জন্য মানুষ অতিরিক্ত শুল্ক গুনতে হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির কারণে তা ৩২ হাজার কোটিতে গিয়ে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁকে রক্ষাকবচ না দিলে এটা করা অসম্ভব। অথচ এখনও এর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হল না, কেন? প্রশ্ন রাহুলের। এবার দেশের মানুষের পকেট থেকে টাকা চুরি হয়েছে। আপনি যখনই আলো জ্বালার জন্য সুইচ টিপবেন, তখনই আপনার গ্যাঁটের কড়ি আদানির পকেটে গিয়ে ঢুকবে। তদন্ত সব দেশেই হয়। মানুষের প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা আছে। কিন্তু ভারতে সেসবের বালাই নেই।
আরও পড়ুন: গাজার হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করল কে?
আদানিরা ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা কিনল। সেটা ভারতে আসতে আসতে দাম দ্বিগুণ হয়ে গেল। এরকম হলে অন্য দেশে সরকার পড়ে যেত। এ তো সরাসরি চুরি! আমরা ক্ষমতায় এলে এর বিরুদ্ধে তদন্ত হবে, প্রতিশ্রুতি রাহুলের। দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা সংবাদপত্রের খবরটিও তুলে ধরে দেখান।
রাহুল বলেন, আমরা আগে ২০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছি। কিন্তু, এখন দেখা যাচ্ছে পরিমাণটা আরও বেশি। ৩২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ভারতে আদানিকে খোলা চেক দিয়ে রাখা হয়েছে। আদানিরা যা চায়, এদেশে তাই পেতে পারে। আদানিদের কী আছে, যে কারণে মোদি সরকার তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে না! কোন শক্তি রয়েছে এর পিছনে, দেশের মানুষ তা জানতে চায়।
আদানি ইস্যুতে ইন্ডিয়া জোট যখন ঐক্যবদ্ধ তখন শারদ পাওয়ারের সঙ্গে আদানির বৈঠক নিয়ে তিনি মুখ খুলছেন না কেন। এই প্রশ্নের জবাবে রাহুল বলেন, শারদ পাওয়ার দেশের প্রধানমন্ত্রী নন। আর আমি জবাব চাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে। শারদ পাওয়ার ওই আসনে থাকলে এবং আদানিকে বুকে আগলে রাখলে, তাঁকেও আমি একই প্রশ্ন করতাম, বলেন রাহুল।
দেখুন অন্য খবর