তমলুক: দাবি মতো দুর্গাপুজোর চাঁদা দিতে না চাওয়ায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক শিক্ষকের পরিবারকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল ক্লাবের বিরুদ্ধে৷ শুক্রবার রাতে তমলুক বিবেকানন্দ ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের কয়েকজন সদস্য চাঁদা সংগ্রহে বাড়ি বাড়ি যান৷ তাঁরা ওই শিক্ষকের বাড়ি গিয়েও চাঁদা চান৷ কিন্তু ওই টাকা দিতে অস্বীকার করায় অভিযোগ, ক্লাবের সদস্যরা শিক্ষকের পরিবারকে হুমকি দেয়৷ আরও অভিযোগ, শিক্ষকের অবর্তমানে তাঁর স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে বাড়িতে তালাবন্দি করে রেখে দেয়৷ ঘটনার পরই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন শিক্ষক৷ যদিও চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্লাবের সদস্যরা৷
অভিযোগকারী শিক্ষক নাড়ুগোপাল সামন্ত জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি বাড়ি ছিলেন না৷ ফিরে এসে দরজার তালা খুলে ঘরে ঢোকেন৷ তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে ভাড়া থাকি৷ চাঁদার জন্য এরকম হামলা করবে সেটা ভাবতে পারিনি৷ সরকার তো পুজোর জন্য অনুদান দিচ্ছে৷’ তারপরেও চাঁদা নিয়ে এই জুলুমবাজি কেন সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ ওই সময় দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছিলেন শিক্ষকের স্ত্রী জলি মুন্সি সামন্ত৷ তিনি বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে ভাড়াবাড়িতে থাকি৷ চাঁদা না দিলে বাড়ি থেকে উৎখাত করার হুমকি দেয়৷ সেই সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করতে থাকে৷ থানায় অভিযোগ জানিয়েছি৷’
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুজো কমিটি৷ বিবেকানন্দ ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের পুজো সভাপতি রতিকান্ত সিমলাই বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ৷ কোনও সত্যতা নেই৷ থানায় অভিযোগ করার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি৷ উল্টে উনারা খারাপ ব্যবহার করেন আমাদের সঙ্গে৷’ অন্যদিকে চাঁদা নিয়ে শিক্ষকের পরিবারকে হেনস্থার নিন্দা করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর৷ তিনি জানান, কেউ দোষ করলে শাস্তি পাবে৷