গলসি: বুধবার ভোরে দামোদর নদ পেরিয়ে দুটি হাতি বুদবুদের কসবায় ঢুকে পড়ে। বেলা গড়াতেই তারা গলসির সিমনোড় সংলগ্ন সেচ ক্যানালের কাছে চলে আসে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটিই দাঁতাল হাতি। কিন্তু, হাতি পড়ার ঘটনায় ফসল নষ্টের ভয়ে আতঙ্কে রয়েছেন চাষিরা।
গলসি মূলত কৃষিপ্রধান এলাকা। সম্প্রতি বোরো ধান চাষ হয়েছে। মাঠ ভরা সবুজ ধান। ইতিমধ্যেই হাতির পায়ে নষ্ট হয়েছে কয়েক একর জমির ধান। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চাষিরা। গত নভেম্বর মাসের গোড়াতে প্রায় ৫০টি হাতির দল দামোদর পেরিয়ে গলসি ও আউশগ্রাম এলাকার ধান খেতে তাণ্ডব করে। গলসির শিড়রাই গ্রামে হাতির আক্রমণে এক গ্রামবাসী জখমও হন। ওইসময় গলসির শিড়রাই, রামগোপালপুর, পোতনা, পুরষা, উচ্চগ্রাম সহ একাধিক এলাকায় হাতির তাণ্ডবে পাকা ধান নষ্ট হয়। প্রায় ২৫০ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয় হাতির পায়ে।
ওইসময় হাতির দলটিকে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেরত পাঠাতে কার্যত নাকাল হয়ে পড়েছিলেন বনকর্মীরা। তারপর আবারও হাতি ঢুকে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত এলাকার চাষিরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বনকর্মীরা। পানাগড়ের রেঞ্জার সুভাষ পাল জানান, নজরে রাখা হয়েছে। হাতি দুটিকে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেরত পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট নিয়ে ধুন্ধুমার হাইকোর্ট
এদিন ভোররাতে দাঁতাল দুটি ঢুকে পড়ে। কয়েক জায়গায় ধানজমির ক্ষয়ক্ষতি হলেও প্রখর রোদের কারণে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কাঠফাটা রোদের হাত থেকে রেহাই পেতে ক্যানেলে স্নান করে গাছের ছাওয়ায় বিশ্রাম নিচ্ছে। বিকেলের পর এদের বাঁকুড়া ফেরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।