নারায়ণগড়: নারায়ণগড়ে (Narayangar ) বেআইনি বাজি কারখানায় (Fire Crackers Godown) ভয়াবহ বিস্ফোরণ। আগুনে ঝলসে গুরুতর আহত দুই ব্যক্তি। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নারায়ণগড় থানার তিন নম্বর নারমা অঞ্চলের তুঁতরাঙ্গা গ্রামে। কিন্তু কীভাবে এই বিস্ফোরণ (Blast) ঘটল এখনও তা জানা যায়নি। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল আচমকাই ওই গ্রামের ভিতর বলাই মান্নার বাড়িতে বিকট আওয়াজ পান এলাকার মানুষজন। কান্নার আওয়াজ শুনে গ্রামবাসীরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। প্রতিবেশি বলাই মান্নার বাড়িতে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় বলাই মান্না পড়ে রয়েছে। আহত হয় ছেলে প্রহল্লাদ মান্নাও। তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগেও এই এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তারপরেও কীভাবে ওই এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানা চলছে তা নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে নারায়ণগড় থানার পুলিশ আধিকারিক আনিসুর রহমান এবং এসডিপিও দীপক সরকার। শুধুই কী বাজি কারখানা নাকি এর পেছনে বোমার কারবার চলত, তারও তদন্ত হচ্ছে পুলিশের তরফে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুরো এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন:Corona | আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছবে সংক্রমণ, সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের
কিছুদিন আগেই মহেশতলার এক বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। আগুন পুড়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। বাড়ির মালিকের স্ত্রী, পুত্র ও এক প্রতিবেশীর মৃত্য়ু হয়েছে বলে খবর। মহেশতলার নুঙ্গি মণ্ডলপাড়ার একটি বাড়িতে চলছিল বাজি কারখানা। সেখানেই বিস্ফোরণ হয়। তারপরেই আগুন ধরে যায়। স্থানীয় পুকুর থেকে জল নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এলাকাবাসীরা। খবর দেওয়া হয় বজবজ থানা ও দমকলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলবাহিনী। তবে আগুন নেভাতে গিয়ে বেগ পেতে হয় দমকলকে। কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল? ওই কারখানায় বাজি তৈরির অনুমতি ছিল কি? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।