Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাTapan Dutta: তপন দত্ত খুনে সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে রাজ্যের আবেদন এজলাসেই পৌঁছয়নি:...

Tapan Dutta: তপন দত্ত খুনে সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে রাজ্যের আবেদন এজলাসেই পৌঁছয়নি: হাইকোর্ট

Follow Us :

কলকাতা: তপন দত্ত খুনে সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে রাজ্যের আবেদন এজলাসেই পৌঁছয়নি। সোমবার বালির তপন দত্ত খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া দুটি মামলার শুনানিতে একথা জানাল আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ জুলাই। বালির তপন দত্ত খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন মূল অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন। রাজ্যও সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন জানায়।

শুনানিতে ষষ্ঠী গায়েনের আইনজীবী প্রতীক ধর বলেন, নিম্ন আদালতে বিচারপর্ব শেষে অভিযুক্তকে মামলা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়। আমাকে মামলায় পার্টি পর্যন্ত না করেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চ। রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, সিআইডি তদন্ত সম্পূর্ণ করে চার্জশিট পেশ করেছিল। সেই তদন্তই সিবিআইকে এভাবে হস্তান্তর করা যায় না। প্রতিমা দত্তর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য যদি আপিল করে যথাযথ পদ্ধতিতে করতে হবে।

২০১১ সালে ৬ মে খুন হন তপন দত্ত। সেই সময় তপন দত্ত এলাকায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ছিলেন। বালির নিশ্চিন্দা এলাকায় একটি বিশাল জলাভূমি ছিল। সেই জলাভূমির প্রতি নজর ছিল স্থানীয় প্রোমোটারি চক্রের। তৃণমূল তখন সবেমাত্র ক্ষমতায় এসেছে। এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দলের কর্মীরা। এই অবস্থায় ওই জলা ভরাট নিয়ে দলের ভিতরে আপত্তি তুলে কাজে বাধা দেন তপন। আর এতেই জেলার এক দাপুটে নেতা তথা বিধায়ক-মন্ত্রীর বিরাগভাজন হন তিনি।

আরও পড়ুন: Agnipath Scheme: ‘অগ্নিপথ প্রকল্প যুব সমাজকে ধ্বংস করবে’, মন্তব্য মেঘালয়ের রাজ্যপালের

খুনের দিন রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তপন দত্ত। সেখানে রেলগেটের কাছে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। তার পর থেকেই এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ও সিবিআইয়ের দাবিতে দীর্ঘ ১১ বছর লড়াই চালিয়ে এসেছেন তাঁর স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় তিনি জানিয়েছিলেন, এবার আশা করি দোষীরা শাস্তি পাবে। তপন দত্ত খুনের পর রাজ্যজুড়ে হইচই পড়ায় সিআইডি তদন্তভার নেয়। প্রথম দফায় অভিযুক্তদের নামে যে চার্জশিট দেওয়া হয়, তাতে হাওড়ার এক মন্ত্রীর নাম ছিল।

তার পরেই সাপ্লিমেন্টারি একটি চার্জশিট জমা পড়ে আদালতে। আশ্চর্যজনক ভাবে সেখান থেকে ওই মন্ত্রীর নাম উধাও হয়। প্রতিমাদেবী হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান এবং মামলা চালিয়ে যেতে থাকেন। সেই সময় বেশ কয়েকবার ফোনে এবং রাস্তায় প্রতিমাদেবী এবং তাঁর মেয়েদের হুমকি দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও এতোটুকু দমেননি প্রতিমা দত্ত।

RELATED ARTICLES

Most Popular