ধূপগুড়ি: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়কে ফুল দিতে গিয়ে লাথি খেলেন দলের প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী। বিজেপির জেলা সভাপতি ব্যাপী গোস্বামী এবং যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পেলেন ঘোষ অলোককে মাটিতে ফেলে সমানে লাথি মারেন। নেতাদের লাথি খেয়ে বিষয়ে হতবাক অলোক। দলের দুই সাংসদ রাজু বিস্তা এবং জয়ন্ত রায়ের সামনেই বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। তবে দুই সাংসদই এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জয়ন্ত রায় বলেন, এটা ওদের ব্যক্তিগত ঝামেলা হতে পারে। এর মধ্যে আমি ঢুকতে চাই না।
বৃহস্পতিবারই ছিল উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। জেলা পার্টি অফিস থেকে বিশাল মিছিল করে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যান বিজেপি প্রার্থী তাপসী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা সভাপতি ব্যাপী গোস্বামী, বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন, দুই সাংসদ সহ দলের আরও অনেক নেতা।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর পিছনে তৃণমূল, বিস্ফোরক অধীর
ওই মিছিলে আচমকাই ঢুকে পড়েন দলের প্রাক্তন সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী। তাঁর দু’হাতে দুটি ফুলের তোড়া ছিল। অলোক এগিয়ে গিয়ে তাপসী এবং জেলা সভাপতিকে ফুলের তোড়া দিতে যান। তখনই ব্যাপী অলোককে এক ধাক্কা মারেন। ধাক্কা খেয়ে ফুলের তোড়া হাতেই মাটিতে পড়ে যান বিজেপি নেতা। এরপর বাপি এবং পলেন বেশ কয়েকবার অলককে লাথি মারেন। প্রার্থী তাপসী সহ মিছিলে হাজির সকলেই ঘটনার আকস্মিকতায় অবাক হয়ে যান। পরে অবশ্য অন্য নেতারা বাকিদের সরিয়ে নেন। অলোকও লাথি খেয়ে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়ান। এর পরেও তিনি কিছুক্ষণ মিছিলে হাঁটেন।
জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠদের দাবি, অলককে কিছুদিন আগেই দলথেকে বহিস্কার করা হয়েছে। অলোকের দাবি, বহিষ্কারের কোনও চিঠি তিনি পাননি। অলোক বলেন, শহীদ পরিবারের সদস্যকে দল উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছে। তাই তাঁকে আগাম শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলাম। কিন্তু তার জন্য যে এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। যদিও অলককে লাঠি মারা নিয়ে বাপি এবং পলেন কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।