বলিউড সুপারস্টার সলমন খানের বিরুদ্ধে তাঁর পানভেল ফার্মহাউসের প্রতিবেশীর আনা চাঞ্চল্যকর অভিযোগের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বলিউড অভিনেতা। কিন্তু তা আদালতে আদৌ গ্রাহ্য হল না। পানভেল ফার্মহাউস সংক্রান্ত এ খবর কিছুদিন আগে আবার শিরোনামে এসেছিল। আইনি ঝামেলা যেনো বলিউড অভিনেতার পিছু ছাড়তে চায় না। একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রতিবেশী এনআরআই কেতন দাবি করেছিলেন, অনেকদিন আগে থেকেই বেশকিছু অনামী ফিল্মস্টারকে পুঁতে রেখেছেন ‘ভাইজান’ সলমন খান। এমনকি সলমনকে ‘ডি গ্যাং’-এর মুখ বলা হয়েছে। তাঁর ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে সালমানের ঘনিষ্ঠ আঁতাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই সাক্ষাৎকার জনসমক্ষে আসার পরেই সালমানের আইনজীবী প্রদীপ গান্ধী ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সালমানের হয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পিতলের ওই সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষও আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আইনজীবীর দাবি সলমনের ধর্মীয় পরিচয় টেনে এনে তাঁকে অসম্মান করতে চেয়েছেন ওই ব্যক্তি। কেতান ওই সাক্ষাৎকারে আরও দাবি করেছিলেন যে বলিউড অভিনেতা শিশু পাচার চক্রের সঙ্গেও নাকি যুক্ত। সালমানের আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন যে কেতনের এসব মন্তব্যে একেবারেই ভিত্তিহীন। এমনকি ভাইজান নিজেও বলেছিলেন কোন প্রমাণ ছাড়া এসব অভিযোগ ওই ব্যক্তির কল্পনাপ্রসূত। সলমনের আইনজীবীর দাবি ভাইজানের ফার্মহাউসের পাশেই একটি জমি কিনতে চেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
কিন্তু বেশ কিছু কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। যা থেকে ধারণা হয়েছে সলমন কলকাঠি নেড়ে তাকে ওই জমি কিনতে দেন নি। তারপর থেকেই প্রতিবেশী কেতন কক্করের এই ধরনের আচরণ মনে করছেন সংশ্লিষ্ট পক্ষ। অথচ সলমনের আইনজীবীর সমস্ত যুক্তি মুম্বই আদালত অগ্রাহ্য করে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে কেতন কক্করের কাছে কিছু প্রমাণ সঠিক। তাই ধোপে টিকছে না সলমনের মানহানির মামলা। অন্যদিকে কেতনের আইনজীবী স্পষ্ট করেছেন যে কেতন অবসরের পরে পানভেলে থাকতে চান। তিনি ১৯৯৬ সালে সলমনের ফার্মহাউস সংলগ্ন জমিটি নিয়েছিলেন। আইনজীবীর দাবি গত ৭-৮ বছর ধরে সলমন ও তার পরিবারকে তনের জমিতে নিজেদের অধিকার দাবি করে আসছেন।