কয়েক মাস আগে দক্ষিণী চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় মুখ সাঁই পল্লবী(Sai Pallavi) মত প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন,’ধর্মকে ব্যবহার করে কোন ধরনের সহিংসতাই গ্রহণযোগ্য নয়’। অভিনয়ের পাশাপাশি না চেয়েও যথেষ্ট পারদর্শী এই অভিনেত্রী। ২০১৫ সালে তাঁর ‘প্রেমাম’ ছবি দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছিল। শিশু শিল্পী হিসেবে তাঁর প্রথম ছবি ২০০৫ সালে ‘কস্তুরী মন'(Kasturi Mon)। সাইকে কখনোই রূপোলি পর্দায় অতিরিক্ত মেকআপ কিংবা স্বল্প বাসনা হয়ে দেখা যায়নি। অত্যন্ত সাদামাটা পোশাকেই তাকে তার প্রিয় দর্শকরা দেখতে পান। তা সত্ত্বেও সাই পল্লবীর জনপ্রিয়তায় কখনো ভাটা পড়েনি। ৩০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী এখনো বিয়ে করেননি।
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর তিনি নাকি অভিনয় থেকে বিদায় নেবেন(Quit Acting)। একটি বিনোদনমূলক পোর্টালের প্রতিবেদন অনুযায়ী দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এখন প্রতিষ্ঠিত সাই পল্লবী অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিনেত্রী হলেও তিনি একজন ডাক্তার। জর্জিয়াতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে(Medical Science) পড়াশোনা করেছেন তিনি। অভিনয় ভালো লাগতো বলে তিনি রূপোলি পর্দায় কাজ করতেন। এইবার তিনি ডাক্তারি পেশায় নিজের জ্ঞান প্রয়োগ করতে একটি হাসপাতাল নিজেই প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছেন।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী,’দীর্ঘদিন চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন সাই পল্লবী তাই এখন মেডিকেল প্রেসার প্রতি সুবিচার করতে চান তিনি। সেই জন্য তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে নিজে একটি হাসপাতাল(Hospital) প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন অভিনেত্রী। সাই পল্লবী ও তার ছোট বোন পূজা, হাসপাতালে দেখাশোনা করবেন। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে তিনি এই পেশার প্রতি মনোযোগ দিতে চান। আর সেই জন্যই গুঞ্জন উঠছে যে সাই পল্লবী অভিনয় ছেড়ে দিতে পারেন। যদিও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনেত্রী কিছু জানার নেই।
সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘গার্গী’তে তাকে নারীকেন্দ্রিক চরিত্রে দেখা গেছে। গত জুলাই মাসে তামিল ভাষার এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নতুন কোন ছবির কাজ হাতে নেননি। তাতেই এই ধারণা আরও বর্তমান হয়েছে যে তিনি রূপোলি পর্দা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেন।