দক্ষিণ কোরিয়া: আবারও দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। এমনটাই দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea)। সোমবারের পর মঙ্গলবারও পিয়ংইয়ংয়ের এটা দ্বিতীয় মিসাইল নিক্ষেপ। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র(United States) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) ফ্রিডম শিল্ড অনুষ্ঠান। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া হচ্ছে। এই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়াকে ভালো ভাবে নিচ্ছে না উত্তর কোরিয়া। ওয়াশিংটন এবং সিওল (Seoul) বারবার উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পারমাণবিক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
নিষিদ্ধ অস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে কিমের দেশ তাদের সামরিক সম্ভার সম্মানে বাড়িয়ে চলেছে বলে অভিযোগ দক্ষিণ কোরিয়ার। সে দেশের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ জানান মঙ্গলবার তাদের সামরিক বাহিনী দুটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল(Missiles) শনাক্ত করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৭.৪১ থেকে ৭.৫১ মধ্যে ছোড়া হয়েছিল ওই দুটি মিসাইল (Missiles)। সেগুলি প্রায় ৬২০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত উড়েছিল। তিনি আরও জানান, তাদের সামরিক বাহিনী সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি নিক্ষেপের (Launched) উপর নজরদারি চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন:RRR | KV Vijayendra Prasad | বিজয়েন্দ্রর স্বপ্নপূরণ
অন্যদিকে জাপানের এক সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা মিসাইলগুলি তাঁদের দেশের জলসীমায় অবতরণ করেনি। যদিও টোকিও আশঙ্কা, উত্তর কোরিয়া আগামিদিনে আরও উস্কানিমূলক পদক্ষেপ করতে পারে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (United States)এবং দক্ষিণ কোরিয়ার(South Korea) যৌথ সামরিক মহড়ার মধ্যেই সোমবার দুটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (Missile) নিক্ষেপ (Launched) করে উত্তর কোরিয়া (North Korea)। সোমবার উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রীয় বার্তায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানিয়েছিল। তাতে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার শক্তিশালী সামরিক বাহিনীকে মোকাবিলার ক্ষমতা পিয়ংইয়ংয়ের আছে। জানা গিয়েছে, এই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধে সক্ষম। উত্তর কোরিয়ার দাবি, তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা তাদের আত্মরক্ষার স্বার্থেই করা হচ্ছে। ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পরই এদিন আরও দুটি মিসাইল ছোড়া হয়। উত্তর কোরিয়া ওই দুই দেশের যৌথ মহড়াকে আক্রমণের পূর্বাভাস বলে মনে করছে। সেই কারণে তারাও পর পর দুদিন মিসাইল ছুড়ে বুঝিয়ে দিল, উত্তর কোরিয়া (North Korea) কারও থেকে কম যায় না, যে কোনও সামরিক শক্তিকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম তারা। কিম জন উং পারমাণবিক (Nuclear) শক্তিধর হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা চেষ্টা করছেন বলে মত আন্তর্জাতিক মহলের।