ওয়াশিংটন:মহাকাশে এবার ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়। সোমবার এমন আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিজ্ঞানীরা। উত্তর গোলার্ধে সুমেরুর রাতের আকাশে যে অরোরা বোরিয়ালিস দেখা যায়, সেইরকমই রাতের আকাশে এবার দেখা যেতে পারে সৌর ঝড়। মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সৌর ঝড় দেখার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আমেরিকা ন্যাশনাল এন্ড অ্যাটমোসফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ব্রিটিশ মেটারোলজিক্যাল অফিস যৌথভাবে এই সৌর ঝড়ের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞানীদের দাবি সূর্যের মধ্যে একটি ছিদ্র তৈরি হওয়ায় সেখান থেকেই সৌর বিকিরণ ছড়িয়ে পড়বে মহাকাশে। সূর্য যেহেতু এই সৌরমণ্ডলের একমাত্র নক্ষত্র তাই সেই সৌর বিকিরণ পৃথিবীর আকাশে চাক্ষুষ করা যাবে।
সৌর ঝড়ের ফলে পৃথিবীতে পাওয়ার গ্রিডের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও স্যাটেলাইট অরিয়েন্টেশন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মতো বিষয়গুলি এই ঘটনায় প্রভাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে আমেরিকান নিউইয়র্ক ওয়াশিংটন কিংবা উইসকনসিনের মতো শহরগুলি থেকে অরোরাকে প্রবলভাবে নাও দেখা যেতে পারে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে দেখা যেতে পারে এই ঘটনা। সৌর ঝড়ে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে বড়োসড়ো প্রভাব পড়বে বলে বিজ্ঞানীদের দাবি। যার কারণ হিসেবে তারা বলেছেন সূর্যের ভেতরে তৈরী হওয়া ছিদ্রগুলো থেকে সৌর বিকিরণ বের হয়। এগুলি হল সূর্যের বায়ুমণ্ডলের শীতল অঞ্চল। এখান থেকে উচ্চ গতিতে সূর্যের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণ বেরিয়ে আসে। এবং সেই বিকিরণ যদি পৃথিবীর অভিমুখে হয় তাহলে বিপদের আশঙ্কা থাকে। কারণ সেক্ষেত্রে সেই সৌর বিকিরণ গুলি সৌর ঝড় রূপে সরাসরি পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে। আমাদের শক্তি ক্ষেত্রে বিপর্যয় তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারেও বড়সড প্রভাব ফেলে। আগামী দিনে পৃথিবী আরো সৌর ঝড় এর সম্মুখীন হতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের তরফেই ইতিমধ্যেই সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের দাবি ২০১৭ সালের পর থেকে সূর্যের তেজ কিছুটা বেড়েছে। ২০২৫ সালে সৌর বিকিরণ প্রক্রিয়া চরমে উঠবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সুতরাং ততদিন পৃথিবীকে আরও সৌর ঝড়ের মুখে পড়তে হতে পারে।