কাবুল: কাবুলে আটকে পড়া সাধারণদের উদ্ধার করতে গিয়ে রবিবার ছিনতাই হয় একটি বিমান। জানা যায় বিমানটি ইউক্রেনের। রুশ সংবাদসংস্থা তাস এর মাধ্যমে ইউক্রেনের উপ বিদেশ মন্ত্রী জানান বিমানটি ইরানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় ইরান এবং ইউক্রেন দুই দেশই সরকারিভাবে বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তাই এখন প্রশ্ন বিমানটি গেল কোথায়?
ইরানি অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে জানিয়েছে মাসুদ থেকে তেল ভরে বিমানটি পুনরায় উড়ে গেছে গিয়ে কিয়েভে।কিন্তু সেখান থেকেও ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের তরফে জানানো হয়েছে ঘটনাটি সম্পূর্ণ রটানো হয়েছে। এমন কোনও বিমান কিয়েভে আসেনি। ফলে একই দেশের দুই মন্ত্রীর তরফে মিলেছে দুরকম তথ্য। তাই এখন প্রশ্ন যাত্রীবাহী বিমানটি কোথায়? এর ঘটনার পিছনে কোন বড় সত্য লুকিয়ে রয়েছে কী না তা নিয়ে ক্রমশ রহস্যের দানা বাঁধছে।
আরও পড়ুন আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বললেন নরেন্দ্র মোদি
প্রসঙ্গত, গত রবিবার ইউক্রেনের একটি বিমান কাবুলে পৌঁছে উদ্ধারকারী বিমানটি কে কয়েকজন বন্দুকবাজ অপহরণ করে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে। কিন্তু এই বিষয়ে ইউক্রেনের কিছুই জানা নেই । বিমানটি আদৌ পৌঁছে ছিল কিনা তা নিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন ওলেগ নিকলেনকোও। জানিয়েছেন কাবুলে বা অন্য কোথাও বন্দী ইউক্রেনীয় বিমান নেই। কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত বিমান সম্পর্কিত তথ্য সত্য নয়।
আরও পড়ুন কাবুলের অবস্থা ভয়ঙ্কর, উদ্ধারের জন্য ভারতকে ধন্যবাদ আফগান সাংসদের
আবার একই সঙ্গে বিমানটি ইরানে পৌঁছেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের উপ বিদেশমন্ত্রী। ফলে একই দেশে দুই মন্ত্রীর দু’রকম কথায় সন্দেহ ক্রমশই বাড়ছে। বিমানটিতে আদেও কতজন যাত্রী ছিল বা যাত্রীরা আদেও বিমানে চড়ে কোথাও পাড়ি দিয়েছে কিনা এ বিষয়ে কোনও সত্যই এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি। কাবুলের আটকে থাকা আফগানদের উদ্ধার করতে যখন তৎপর প্রতিটা দেশ। তখন আফগানদের উদ্ধার করতে গিয়ে বেমালুম বিমান উধাও এর ঘটনা সামনে আসতেই ক্রমশ ভয় ধরছে দেশবাসীর মনে।