Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাJustice Mantha: নাবালিকাদের নিয়ে ভাবার সময় এসেছে, মামলার রায় দিতে গিয়ে মন্তব্য...

Justice Mantha: নাবালিকাদের নিয়ে ভাবার সময় এসেছে, মামলার রায় দিতে গিয়ে মন্তব্য বিচারপতি মান্থার 

Follow Us :

কলকাতা: ১৫ বছরের নাবালিকাদের নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। আধুনিক যুগে তারা অনেক পরিণত। ১৯৪৭ সালের নাবালিকাদের সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না। একটি মামলার বিচার চলাকালীন এই মন্তব্য করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajashekhar Mantha)। হাওড়ার (Howrah) রাজাপুর থানার বাসিন্দা শেখ আলম (পরিবর্তিত নাম) পেশায় টোটো চালক। শেখ তাঁর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে সাবিনার (পরিবর্তিত নাম)। সাবিনার বয়স ১৫। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সাবিনা হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়।

সাবিনার পরিবারের আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জির দাবি, সাবিনাকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিবাহ করে ধর্ষণ করা হয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে হায়দরাবাদে (Hayderabad) নিয়ে গিয়ে জোর করে বিবাহ করে। হাওড়া গ্রামীণের রাজাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় হায়দরাবাদ থেকে উদ্ধার করা হয় সাবিনাকে। ইতিমধ্যে শেখ আলমের আগাম জামিন মঞ্জুর হয়। আগাম জামিনের পর থেকেই আলম হুমকি দিতে থাকে। পুলিশকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাই সাবিনার পরিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়।

অন্যদিকে শেখ আলমের আইনজীবীর দাবি, সাবিনার সঙ্গে আলমের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। সাবিনা গোপন জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে সে স্বেচ্ছায় শেখ আলমের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিবাহ করেছিল।

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত অনুব্রতর, লাভপুরে পুলিশকে বোমা মারায় গ্রেফতার ২ 

দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, ১৫ বছরের নাবালিকাদের নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। আধুনিক যুগে তারা অনেক পরিণত। ১৯৪৭ সালের নাবালিকাদের সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না। এখন নাবালিকারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পারদর্শী। তারা সব জানে। কিন্তু সাবালিকা হওয়ার আগে বিবাহ আইনত অপরাধ। কিন্তু ১৫ বছরের নাবালিকারা স্বেচ্ছায় যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তাতে বিচারব্যবস্থা অনেক সময় অসুবিধার মুখে পড়ছে। ফলে তাদের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিতে গেলে আইন অসুবিধায় পড়ছে। ফলে আদালতের পক্ষে আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়। 

শেষে বিচারপতি নির্দেশ দেন, শেখ আলম সাবিনা ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে না। হুমকি বা অন্য কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সাবিনার পরিবার থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশকে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গে আগের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular