Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাRabindra Bharati University: রবীন্দ্রভারতীর ক্যাম্পাসে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পুর-হলফনামায় সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট

Rabindra Bharati University: রবীন্দ্রভারতীর ক্যাম্পাসে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পুর-হলফনামায় সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট

Follow Us :

কলকাতা: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindra Bharati University)  জোড়াসাঁকো  ক্যাম্পাসে বেআইনি নির্মাণ (Illegal Construction)  সংক্রান্ত মামলায় কঠোর অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্ট (kolkata High Court)। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বেআইনি নির্মাণ মামলায় হলফনামা জমা দিল কলকাতা পুরসভা ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু, কলকাতা পুরসভার রিপোর্ট দেখে অসন্তুষ্ট প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) এবং হেরিটেজ কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা, হেরিটেজ কমিটি কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানিয়ে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি।

গত কয়েক দিন ধরেই খবরে উঠে এসেছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Rabindra Bharati University)। সৌজন্যে,  বেআইনি নির্মাণের (Illegal Construction) অভিযোগ। আর এর জন্য রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকেই দায়ী করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়া জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে বেআইনি নির্মাণ করা হয়েছে। হেরিটেজ আইনের তোয়াক্কা না করেই সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে। ওই কার্যালয়ের নাম দেওয়া হয়েছে শিক্ষাবন্ধু সমিতি। এরই বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা রুজু হয়েছে। সোমবার সেই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।

আরও পড়ুন:Kuntal Ghosh and Santanu Bandyopadhyay: ফের কুন্তল ঘনিষ্ঠ শান্তনুকে তলব ইডির

প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘হেরিটেজ বিল্ডিং না হলেও কি যে কেউ গিয়ে কোথাও পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলতে পারে?’ কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়,  পুরসভার হেরিটেজ দফতর ইতিমধ্যেই বেআইনি নির্মাণ খুঁজে পেয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ হেরিটেজ নির্মাণ ভেঙে ফেলা যায় না। ভেঙে ফেলা অংশের পুনরুদ্ধার প্রয়োজন। বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলেও, গত দু’মাসে কলকাতা পুরসভার তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা হলফনামা আকারে জমা দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, তাতে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট।

মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, যেভাবে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক কার্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে, তা একেবারেই বেআইনি। যাঁরা এই কাজ করেছেন এবং ওই নির্মাণ দখল করে রেখেছেন, তাঁদের আদৌ এসব করার অধিকার রয়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, গত নভেম্বর মাসে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, কলকাতা পুরসভাকে (Kolkata Municipal Corporation) ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু পুরসভা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই ফের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। 

RELATED ARTICLES

Most Popular