কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হল বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে। শুক্রবার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন রঞ্জন। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। কীভাবে এই চক্র চলত, চন্দনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, রঞ্জন ছাড়াও আরও তিন এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আজই আদালতে পেশ করা হয়। এই তিনজনের মাধ্যমে চাকরি বিক্রির লক্ষ লক্ষ টাকা আসে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সিবিআই আধিকারিকরা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন।
এই রঞ্জনের নাম প্রথম জানা যায় বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক এবং সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা উপেন বিশ্বাসের কাছ থেকে। তাঁর কাছে আসা এক প্রাক্তন সেনাকর্মী প্রথম উপেনকে রঞ্জনের কথা বলেন। ওই সেনাকর্মীর মাধ্যমেই তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক উপেন বিশ্বাস জানতে পারেন, রঞ্জন টাকার বিনিময়ে অনেককে শিক্ষকতার চাকরি দিয়েছেন। বাগদার অনেক শিক্ষিত যুবক-যুবতী তাঁর মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন:Jammu-Kashmir : কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের বিরুদ্ধে আবেদন কি দ্রুত শুনবে সুপ্রিম কোর্ট ?
উপেন জানান, রঞ্জনেের একটা গুণ ছিল, টাকা নিয়ে চাকরি দিতে না পারলে তিনি টাকা ফেরত দিয়ে দিতেন। অনেকে টাকা ফেরতও পেয়েছেন। এরপরই প্রাক্তন এই সিবিআই কর্তা আরও কিছু খোঁজখবর নিয়ে একটি ভিডিয়ো তৈরি করেন। তিনি তাঁর নাম দেন সৎ রঞ্জন। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই বাগদা ,বনগাঁ সহ বিভিন্ন এলাকায় রঞ্জনের নাম চাউর হয়ে যায়। খোঁজাখুঁজি শুরু হয় রঞ্জনের। সিবিআই অনেকবার তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু তাঁর খোঁজ মেলেনি। অবশেষে শুক্রবার সকালে সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়ল বাগদার সেই সৎ রঞ্জন। সিবিআই মনে করছে, রঞ্জনকে জেরা করে নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসবে।
এদিনই আদালতে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বাগদার রঞ্জন গ্রেফতার হয়ে আর কী হবে? কিছুই হবে না। সাত আট মাস ধরে অনেক কিছুই চলছে। সৎ রঞ্জনকে ডাকাও হয়েছে। এখন গ্রেফতার করেছে। কিছুই হবে না।