Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাCalcutta High Court | মুকুলের দলবদল নিয়ে ফের হাইকোর্টে শুভেন্দু 

Calcutta High Court | মুকুলের দলবদল নিয়ে ফের হাইকোর্টে শুভেন্দু 

Follow Us :

কলকাতা: মুকুল রায় (Mukul Roy) বিজেপিতে (BJP)  না তৃণমূলে (TMC), তা নিয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর আগে দুই তরফের শুনানির পর বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) রায় দিয়েছিলেন, মুকুল রায় বিজেপির বিধায়ক। তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, এমন কোনও প্রমাণ বিরোধী দল বিজেপি দেখাতে পারেনি। স্পিকারের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই শুভেন্দু কলকাতা হাইকোর্টে আবারও মামলা করলেন। 

এদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মুকুল রায়কে নিয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আমরা কলকাতা হাইকোর্টে আজকে একটি মামলা দায়ের করেছি। যাতে একটি বেঞ্চে শুনানি হয়ে এর দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সেই আর্জিও জানিয়েছি। সংবিধানের দশম কাউন্সিলের নিয়ম কার্যকর করেন না এই বিধানসভার অধ্যক্ষ।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ১১ জুন তৃণমূল ভবনে  আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমুলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দলে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তবে মুকুলকে তৃণমূলের পতাকা ধরানো হয়নি। ওই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুকুল আবার মূল স্রোতে ফিরে এল। 

বিধানসভা ভোটের পর থেকে মুকুলের মতো এরকম প্রায় ১০ বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন। বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী এই বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় স্পিকারের কাছে। বিজেপি মুকুলের সদস্যপদ খারিজের দাবিতে আদালতেরও দ্বারস্থ হয়। হাইকোর্ট হয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শীর্ষ আদালত বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন স্পিকারকেই। এর কিছু আগেই মুকুলকে বিধানসভারর পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানও করা হয়। তাতেও আপত্তি তোলে বিজেপি। সাধারণত লোকসভা, বিধানসভা কিংবা পুরসভায় এই কমিটির চেয়ারম্যান পদে থাকেন বিরোধী দলের সদস্যই।এটাই সংসদীয় রীতি। রাজ্য বিধানসভার ক্ষেত্রে সেই রীতিও লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। 

বিধানসভায় স্পিকার মুকুলের সদস্যপদ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দফায় দফায় শুনানি করেন। শুভেন্দু এবং মুকুলের আইনজীবীদের বক্তব্যও শোনা হয়। অবশেষে স্পিকার রায় দেন, মুকুল বিজেপিতেই আছেন। তিনি তৃণমূলে যোগ দেননি।

সোমবার এই ইস্যুতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু কয়েকজন বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর দাবি, একটা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দলত্যাগবিরোধী আইন মোতাবেক দলবদলু বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পাঁচ বিধায়কের নামে বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও স্পিকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। শুভেন্দুর দাবি, অধ্যক্ষ তাঁদের জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়সীমার কথা রুলবুকের কোথাও লেখা নেই। রাজভবনেও তো দিনের পর দিন বহু বিল আটকে থাকে। 

শুভেন্দু স্পিকারকে বলেন, আমি রাজ্যপালের প্রতিনিধি নই। আপনার কাছে অনুরোধ, অভিযুক্ত বিধায়করা কোন দলে আছে, তা আপনি দ্রুৎ জানিয়ে দিন। স্পিকার কোনও সিদ্ধান্ত না নিলে এরপর বিজেপি বিধায়করা মিছিল করে স্পিকারের ঘরে আসবেন। প্রয়োজনে ধরনা বা অনশেনেও বসতে পারেন তিনি।  

RELATED ARTICLES

Most Popular