কলকাতা: মনোনয়ন (Nomination) জমা (Submit) ও প্রত্যাহার (Withdrawal) পর্বে হিংসার ছবি দেখেছে রাজ্য। মনোয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া ও প্রত্যাহার করতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। এবার সব জবাব দিতে কমিশনের হাতিয়ার গত পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) সঙ্গে এবারের ভোটের তুলনা। গত পঞ্চায়েত ভোটের তুলনায় মনোনয়ন প্রত্যাহার এবার অনেক কম। আদালতেও (Court) হলফনামা জমা দিয়ে জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আদালতে যে হলফনামা কমিশন দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ র তুলনায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের হার এবার অনেক কম। আদালতে পরিসংখ্যান সহ হলফনামা পেশ করে জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ২০১৮ সালে ১,৩৩,৬৭৩ টি বৈধ মনোনয়নের মধ্যে ২৩,৬১৯ টি প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শতাংশের হিসাবে যা ১৭.৬৬। আর এবার অর্থাৎ ২০২৩ সালে ২,২৮,১৫৮ টি বৈধ মনোনয়নের মধ্যে ২০,৬১২ টি প্রত্যাহার করা হয়েছে। শতাংশের হিসাবে যা ৯.০৩ । মনোনয়ন পর্বে বিভিন্ন মাধ্যমে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৭৫৪ টি অভিযোগ পেয়েছে এবং তার প্রত্যেকটির ক্ষেত্রেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: HC | Justice Rajasekhar Mantha | বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিচার্য বিষয় বদল
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) দশ দিন আগেও কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) নিয়ে টানাপড়েন অব্যাহত। বুধবারই আদালতে কেন্দ্রের আইনজীবীর অভিযোগ ছিল, নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) কাছে তথ্য চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। কোথায় কত বাহিনী কীভাবে মোতায়েন হবে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য দিচ্ছে না কমিশন। কমিশনের পাল্টা দাবি ছিল, সব তথ্যই দেওয়া হচ্ছে। এই চাপানউতোরে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) টিএস শিভগননম বলেন, আপনারা দুপক্ষ বসে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিন। আদালত অবমাননার (Contempt of Court) মামলায় বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন হলফনামা জমা দেয়। মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (Additional Solicitor General) বলেন, বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কোনও পরিকল্পনার কথাই কমিশন জানাচ্ছে না। বাহিনী বুথে থাকবে না বাইরে থাকবে, তা স্পষ্ট করে বলছে না কমিশন। বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করবে কারা, তারও সদুত্তর মিলছে না। দুদুবার কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ, আগামী সোমবারের মধ্যে কমিশনকে একটি রিপোর্ট দিতে হবে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে সে ব্যাপারে।