বাঁকুড়া: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের (ICDS Ccnter) খিচুড়িতে টিকটিকি। ওই খিঁচুড়ি খেয়ে দু’জন অসুস্থ দুই গর্ভবতী সহ ৫৪ জন। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার ইন্দপুরের পুয়াড়া গ্রামের ঘটনা। আপাতত তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আইসিডিএস কেন্দ্রে খাবারে টিকটিকি পড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইসিডিএস কর্মীরা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে প্রতিদিনই খিচুড়ি দেওয়া হয়। পড়ুয়ারা বেশির ভাগই বাড়ি থেকে পাত্র নিয়ে আসে। সেই পাত্রে খিচুড়ি ভরে তারা বাড়ি নিয়ে যায়। আবার অভিভাবকদের অনেকেই পড়ুয়াদের জন্য বাড়িতে খিচুড়ি নিয়ে যান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়।
ছোট ছোট শিশু ও তাঁর মায়েদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এই সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি তৈরি করা হয়। কিন্তু এখানে হচ্ছে উল্টোটাই। প্রতিনিয়ত রাজ্যে আইসিডিএস সেন্টারের খাবারের মান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বেশির ভাগ সময় দেখা গিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না হচ্ছে, কখনও খোলা আকাশের নিচে চলছে পঠন-পাঠন, আবার কখনও খাবারে মিলছে টিকটিকি। সেই ছবি ধরা পড়ল বাঁকুড়ার ইন্দপুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার পুয়াড়া গ্রামের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে শিশু এবং মায়েদের জন্য খিচুড়ি দেওয়া হয়েছিল। সেই খিচুড়ি বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন অনেকেই। এরপর এক অভিভাবক ওই খিচুড়ি খেতে গিয়েই তাতে একটি টিকটিকি দেখতে পান। মুহূর্তে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। খিচুড়িতে টিকটিকি ছিল জানতে পেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় পর্যায়ক্রমে ৫৪ জন হাসপাতালে আসেন। এর মধ্যে দু’জন প্রসূতিও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মহানন্দার জলে বিষ, শিলিগুড়ি শহরে পানীয় জলের সঙ্কট তুঙ্গে
যদিও গ্রামবাসীদের অভিযোগ মানতে রাজি নন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী সহায়িকা মিঠু পাত্র। তাঁর দাবি, তাঁর কেন্দ্রে খাবারে টিকটিকি পড়ার ঘটনা ঘটেনি, যা কিছু হয়েছে বাড়িতে ওই খাবার নিয়ে যাওয়ার পর। ফলে ওই ঘটনার দায় তাঁর উপর বর্তায়না। ইন্দপুরের বিএমওএইচ ডাঃ কাজল দে বলেন, আতঙ্কের কিছু নেই, যে ৫৪ জন হাসপাতালে এসেছিলেন প্রত্যেককে আগামী কয়েক ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। একটি শিশুর ‘পাতলা পায়খানা’ ছাড়া প্রত্যেকেই সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন বলে তিনি জানান।
অন্য খবর দেখুন