কলকাতা: গরু পাচার মামলায় (Cattle Scam) জেলবন্দি অনুব্রত (Anubrata Mandal) ওরফে কেষ্ট মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে শুক্রবার জামিনে মুক্তি দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। গত ১৪ মার্চ ইডি গ্রেফতার করে মণীশকে (Manish Kothari)। অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সম্পাদক অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর কন্যা সুকন্যার যাবতীয় সম্পত্তির দেখভাল তিনিই করতেন। বীরভূম-সহ (Birbhum) বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের ওই দাপুটে নেতা এবং তাঁর পরিবারের নামে যে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে, তার সমস্ত তথ্য মণীশ জানতেন। শুধু তাই নয়, গরু পাচার (Cattle Smuggling) ঘিরে যে সমস্ত বেআইনি লেনদেন হয়েছে, তার পিছনেও মূল মাথা ছিলেন মণীশ। গরু পাচার মামলায় এই প্রথম কেউ জামিনে ছাড়া পেলেন।
এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্বস্তি পেয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না। অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডি যে ইসিআইআর করেছিল, সেটিও খারিজ করার আবেদন জানানো হয়েছিল আদালতে। কিন্তু আদালত সেই অভিষেকের সেই আর্জি নাকচ করে দিয়েছে। আদালতের বক্তব্য, ইডি অভিষেকের বিরুদ্ধে তেমন কোনও তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি, যার ভিতিতে তাঁকে গ্রেফতার করা যায়। এর আগে অভিষেক বারবার দাবি করেছেন, আমার বিরুদ্ধে দশ পয়সার দুর্নীতি প্রমাণ হলে আমি হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে চলে যাব। দিন কয়েক আগেও ইডি তাঁকে প্রায় নয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে।
আরও পড়ুন: কলকাতার ডেপুটি মেয়রের ডেঙ্গি অভিযান কলেজ স্ট্রিটে
তবে গরু পাচার মামলায় তিহার জেলে বন্দি অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশের জামিন ইডির পক্ষে একটা বড় ধাক্কা। অনুব্রতর সঙ্গে তিহার জেলে রয়েছেন তাঁর মেয়ে সুকন্যা। তাঁর নামেও বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে ইডির দাবি। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে তাঁর কয়েক কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। তিনিও বহু সম্পত্তি কেনাবেচা করেছেন বলে অভিযোগ। সুকন্যা জেরার মুখে বারবার দাবি করেন, তাঁর সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতে না। সব জানতেন মণীশ আঙ্কল। তিনি শুধু কাগজে সই করে দিতেন।