কলকাতা: বউবাজারের খতিগ্রস্ত ২ বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। রবিবার দিন সকালে ঘটনাস্থলে যান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি গুলি ভেঙ্গে ফেলা হবে কি না এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। অন্যদিকে, ৭ দিনের মধ্যে বউবাজারের বিপজ্জনক বাড়িগুলি পরীক্ষা করার নির্দেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের।
রবিবার মেট্রোর তরফে জানানো হয় বউবাজারের ১৬ এবং ১৬/১ এর এই বাড়ি দুটি ভেঙে ফেলা হবে। তার আগে আবাসিকদের মালপত্র বের করে নেওয়া হবে।মেট্রোর তরফ থেকেই করা হবে।পুরো বিষ়টিই ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে।আগেই ২৩ টি বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেই তালিকায় আরও দুটি বাড়ি সংযোজিত হল। ৭ দিনের মধ্যে যাদবপুরের বিশেষজ্ঞ কমিটি পরীক্ষা করে দেখবে । বিপজ্জনক বাড়ি ছাড়াও গোটা এলাকার বাড়িগুলি পরীক্ষা করা হবে।কলকাতা পুরসভার ‘মহানাগরিক’ এই নির্দেশ দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের। তাদের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে দূর্গাপিতুরি লেন-এর বাসিন্দাদের ভবিষৎ।
বৈঠক শেষে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, এই অবস্থায় চিরস্থায়ী সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়া দরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপার হলেও, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সাহায্য করা হবে। বাড়ি ভাঙার খবর পেয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিতে পৌঁছে যান আবাসিকরা।
মেট্রোর কাজ চলাকালীন বউবাজারে ফের ফাটলের ঘটনা ঘটে। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বৌবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের প্রায় ১০টি বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। ২০১৯ সালের পর আবারও বউবাজারে ফিরে আসে সেই পুরনো আতঙ্ক। ভয়ে ঘর ছাড়ে বহু পরিবার। ওই রাতেই ঘটনাস্থলে যান মেট্রোর আধিকারিকরা।মেট্রো কর্তৃপক্ষ সেগুলি মেরামত করার পরেও তার কয়েকটিতে এ বারও ফাটল ধরল। তা হলে কি ওই সময় সঠিক ভাবে মেরামতির কাজ হয়নি? এমনই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
আরও পড়ুন Call Centre: বেআইনি কল সেন্টার খুলে উত্তর ভারতের বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রতারণা, গ্রেফতার ৯